নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে রাতে গোলাগুলি, দিনে মর্টারশেলের বিকট শব্দে কাঁপল ৩ গ্রাম
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে রাতে গোলাগুলি, দিনে মর্টারশেলের বিকট শব্দে কাঁপল সীমান্তের ৩ গ্রাম। শুক্রবার রাতে এবং শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে।
সূত্র মতে, নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের ৪৫, ৩৬ ও ৪৭ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে কয়েকঘণ্টাধরে মিয়ানমারের সামান্য ভেতর থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসরত লোকজন।
যা সীমান্ত পিলার এলাকা দিয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাত ৯টা থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট পযর্ন্ত থেমে থেমে বেশ কয়েক রাউন্ড গোলাগুলির আওয়াজ জামছড়ি এলাকায় শুনতে পান স্থানীয় ব্যাবসায়ী মো. জুয়েল এবং আবদুর রহমান।
অপরদিকে শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ২টা ৪০ মিনিটের সময় ৪৬/এবং ৪৭ নং পিলারের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে পরপর দুটি মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ মিয়ানমারের সালিডং এলাকা থেকে আসে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকার অভ্যন্তরে থেকে আসে বলে জানান সীমান্তের নিকটে থাকা স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলম। সীমান্ত এলাকার অনেকেই ধারণা করে বলেন, চলতি সময়ে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মি সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। বতর্মানে তার সঙ্গে আরেকটি সশস্ত্র বিদ্রোহী সংঘটন মিয়ানমার জান্তা বাহিনীকে সমর্থন দিয়ে তাদের পক্ষে আরকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতাই মাঝে মধ্যে তারা আরকান আর্মির উপর হামলা চালাতে চেষ্টা করে থাকে। বতর্মানে মিয়ানমারের সীমান্তের ভিতরে অবস্থান করে তারা আরকান আর্মির উপর সশস্ত্র হামলা বাড়াতে তাদের কৌশলগত দিক অবলম্বন করছে বলে সুত্রে জানা গেছে। জনশ্রুতি রয়েছে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে থাকা আরকান আর্মির সদস্যরা প্রতিপক্ষের হামলার আতঙ্কে থাকেন। সেই কারণে প্রায় সময় রাতে এবং দিনের বেলায় শুধু শুধু ফাঁকা ফাইয়ার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন প্রতিপক্ষকে তাদের সক্রিয়া জানান দেবার জন্য।
তবে এ বিষয় স্থানীয় কোন কতৃপক্ষ এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তারা বলেন, এ ঘটনা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ।