parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে কেএনএফ সন্ত্রাসী সন্দেহে নেপালী নাগরিক আটক

বাংলাদেশ-মিয়ানমার  পার্বত্য সীমান্ত থেকে কেএনএফ’র গোয়েন্দা সন্দেহে ১ নেপালী নাগরিককে আটক করছে বিজিবি।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুর পৌঁনে ১২ টার দিকে এ নাগরিককে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের চাকঢালা সীমান্ত থেকে আটক করে পুলিশে দেন ১১ বিজিবির সদস্যরা। আটক এ ব্যক্তির নাম, আমর তাপা পিতা দর্জিদ বুড়া তাপা। সে নেপালের ২৪ গাদি গ্রামের বড়পা থানার জাজার কোট জেলার বাসিন্দা বলে স্বীকার করেন।

পুলিশ জানান, আটক এ ব্যক্তি নেপালী। সে পাহাড়ের কোন সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য কিনা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ এ সংবাদ লেখাকাল অবধি তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের মামলার প্রস্তুতি চলছে।

স্থানীয় সূত্র গুলো জানান, সে পার্বত্যাঞ্চলে চাদাঁবাজিসহ নানা অপরাধ সৃষ্টিকারী কেএনএফের সদস্য গোয়েন্দা সেঁজে এখানে গোপনতথ্য সংগ্রহে লিপ্ত ছিলো বলে দাবি করেন তারা।

থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন, নেপালী নাগরিক কেন মিয়ানমার সীমান্তে এসেছে খতিয়ে দেখা হবে। তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে সীমান্তে কেন আসছে আর ঘুরাফেরা করতেছে খবর পেয়ে তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। সীমান্তে বিজিবি সতর্ক রয়েছে।

অপর একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এক নতুন বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র একটি সংগঠন। যা আত্মপ্রকাশ করেছে সম্প্রতি। বান্দরবানের বম জাতিগোষ্ঠীর কিছু ব্যক্তি এটি গড়ে তুলেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে কেএনএফ সংগঠনের নামে সম্প্রতি ফেসবুকে একটি পেজ খুলে দাবি করছে, তারা রাঙামাটি ও বান্দরবান অঞ্চলের ৬ টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে । সেগুলো হলো বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, ম্রো ও খুমি।

তারা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নিয়ে আলাদা রাজ্যে গঠনে সচেষ্ট। এ সংঠনের সভাপতি হলেন নাথান বম।

তাছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে আটক ব্যক্তি আমর তাপা সাথে নেপালের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সখ্যতা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে সুবাদে তার এখানে আসা কিনা খতিয়ে দেখছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Exit mobile version