parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে খাল পাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীসহ নিজ গন্তব্যে যায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ

বাইশারী প্রতিনিধি:

পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৫০ গজের মধ্যে একটি ছোট্ট খাল। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের শেষ নেই। তবে ব্রিজ না থাকায় শুষ্ক মৌসুমেও খাল পাড়ি দিয়ে স্কুলে যান শত শত শিক্ষার্থী এবং নিজ নিজ গন্তব্য স্থলে যান বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ওই খালটির পূর্ব পার্শ্বে কক্সবাজারের রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী, মুরাপাড়া, বড় জামছড়িসহ একটি আবাসন প্রকল্প আর একটি অশ্রয় কেন্দ্র মিলে দশ গ্রামের হাজার হাজার জনসাধারণের বসবাস।

ওই এলাকাটি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদরের একেবারে নিকটে হওয়ায় এসব এলাকার মানুষের ব্যবসা বানিজ্য যে কোন কাজ কর্ম, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজসহ সব কিছু নাইক্ষ্যংছড়ি কেন্দ্রীক।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে বিগত ৩০ বছর ধরে শুকনো মৌসুমে কাপড় ভিজিয়ে খাল পাড়ি দিলেও বর্ষাকালে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলে এসব গ্রামের হাজারও গ্রামবাসী ও শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন কাপড় ভিজিয়ে যাতায়াত করলেও বর্ষাকালে বাঁশের সাঁকো ভেঙ্গে গেলে তাদের বিকল্প পথ চার কিলোমিটার ঘুরে হয় রূপনগর ব্রিজ, না হয় নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ব্রিজ দিয়ে যেতে হয় তাদের।

স্থানীয়রা ও শিক্ষার্থীরা জানান, বর্ষাকালে চার কিলোমিটার ঘুরে স্কুলে যেতে অনেক সময় লাগে তাছাড়া যেতে যেতে অনেক সময় দুই একটি ক্লাসও মিস হয়ে যায়।

নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র মো. রফিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ও যোগাযোগ খাতে আন্তরিক হওয়ার পরও পিছিয়ে আছি আমরা।

মুক্তিযোদ্ধা ভুলা শর্মা জানান, কয়েক বছর আগে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় এক যুবক পানিতে পড়ে গেলে পরের দিন তার লাশ পাওয়া যায়। তার মতে বান্দরবান ও কক্সবাজার রামু আসনের দুই সংসদ সদস্যের সুদৃষ্টি হলে আমরা পেতে পারি একটি ব্রিজ।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আরিফ উল্লাহ ছুট্টু জানান, এটি নাইক্ষ্যংছড়ি ও কচ্ছপিয়ার সীমানা হলেও একটি ব্রিজ অতিপ্রয়োজন। কারণ খালের ওপারে হচ্ছে সব কৃষক ও ব্যবসায়ী। তাদের উৎপাদিত ফসল গুলো নাইক্ষ্যংছড়ি বাজারে বিক্রি করার জন্য ৪ কিলোমিটার ঘুরে আসতে তাদের খরচ দুই থেকে তিন গুন বেশি গুনতে হয়।

Exit mobile version