parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে দুই তদন্তে অধ্যক্ষের অভিযোগ প্রমাণিত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট আলীম মাদরাসার ছাত্রীর সাথে কেলেংকারীতে জড়িয়ে পড়া অধ্যক্ষ সৈয়দ হোছাইনের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছে। পর পর দুটি তদন্তে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গত ২৮ জুলাই মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে এবং ২ ফেব্রুয়ারি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মু. জসিম উদ্দীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর পৃথক দুটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এদিকে বিতর্কিত অধ্যক্ষ মাদরাসার কার্যক্রমে অংশ নেওয়ায় সংশ্লিষ্টদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আর প্রমাণিত অভিযোগ ধামাচাপা দিতে ওই অধ্যক্ষ ক্ষমতাসীন দলের এক নেতাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় তদবির অব্যাহত রেখেছেন।

জানা গেছে, নিজ মাদরাসার এক ছাত্রীর সাথে কেলেংকারীসহ বিগত সময়ের ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতির কারণে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার চলতি বছরের ২২জানুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। প্রথম ওই তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাইক্ষ্যংছড়ি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মু. জসিম উদ্দীন সরেজমিনে ৮জন ব্যক্তির সাক্ষাতকার নেন। পরে ২৪ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর গত ২৮এপ্রিল অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সৈয়দ হোছাইন এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

এরপর অধ্যক্ষের নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আরো একটি অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১১জুলাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জেলা শিক্ষা অফিসার সুমা রাণী বড়ুয়া সরেজমিনে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে মাদরাসা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্যদের নিয়ে তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগ সমূহ প্রাথমিক প্রমাণিত হয়েছে।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ওই তদন্ত প্রতিবেদনের শেষাংশে তিনি উল্লেখ করেছেন- অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সময়মত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে নাইক্ষ্যংছড়ি জনসাধারণ যে কোন সময় ক্ষুব্ধ হয়ে অঘটন ঘটাতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

এদিকে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বৃহস্পতিবার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচি তৃতীয়বারের মতো আরো একটি তদন্ত করার কথা রয়েছে। এই জন্য অভিযোগকারী ও অভিযুক্তকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।

Exit mobile version