নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রবাসী সনাক্ত তালিকায় ২৪,  হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ ৮জনকে

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ২৪ জন প্রবাসী সনাক্তের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
এদের সকলেই বিদেশ ফেরত।

শনিবার( ২১ মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাফর মো. ছলিম এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে ৮ জন। এদেরকে নিজ বাসস্থানে হোম কোয়ারেন্টাইন হিসেবে সংরক্ষণে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাকী ১৬ জন বিদেশ ফেরতের ১৪দিন অতিক্রম হওয়াতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রয়োজন নেই বলে জানান।

হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনার মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার উত্তর বিছামারা গ্রামের বাগান ঘোনা এলাকার ২জন। দুই জনেই দুবাই প্রবাসী। অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন সদর ইউনিয়নের চাকঢালা গ্রামের ১জন, কম্বোনিয়া গ্রামের ১জন, চাকঢালার লম্বা মাঠ ১জন। এই তিন জনেই ভারত থেকে ফেরত আসা। ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গ্রামের উত্তর পাড়ার ১জন, বাইশারী ইউনিয়নের যৌথ খামারপাড়ার ১জন, উত্তর বাইশারী গ্রামের ১ জন রয়েছেন।

ডাঃ আবু জাফর মো, ছলিম আরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ শয্যা বিশিষ্ট করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ আইসোলেশন প্রস্তুতি রয়েছে। কক্ষটি একেবারে নতুন এখনো রোগীকে ব্যবহার করতে দেয়া  হয়নি। সর্বশেষ তথ্যে ওই ৮ জনকে নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ ১৪ দিন বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

আর এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান (বিজিবি) সীমান্তে মিয়ানমারের অবৈধ অনুপ্রেবেশসহ মরণব্যাধী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জীবানু বহন করে যেন সীমান্তের মিয়ানমার থেকে আসতে না পারে সেই লক্ষ্যে সীমান্তে কঠোর নজরধারী ও টহলে রয়েছেন বলে বিজিবি সূত্রে জানান।

১১বিজিবির জোন অধিনায়ক লে: কর্নেল আসাদুজ্জামান খাঁন জানান, বিজিবি জোয়ানেরা সীমান্তের সমস্ত বিওপি গুলোতে সতর্ককতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে যে সীমান্তের ওপার থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জীবানু যেন বহন করে এদেশে না আসে সেই সতর্কতা নিয়ে সীমান্তের দু’দেশের আসা-যাওয়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে সার্বক্ষণিক সতর্কে রয়েছে সীমান্তের বিজিবি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এমন নির্দেশনা দেয়া আছে বাহিরের কোন রোগী হাসপাতালে প্রবেশের আগে বাহিরের বেসিনে হ্যান্ড ওয়াশ, মাক্স ব্যবহার করে পরিস্কার পরিছন্নতা বজায় রেখে প্রবেশ করতে।

এ বিষয়ে চিকিৎসকেরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। গুজবে কান না দিয়ে সতর্কতা হওয়ার জন্য প্রতিদিন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের অভিযানও অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া উপজেলা ১০সদস্য বিশিষ্ট করোনা প্রতিরোধ কমিটি করা হয়েছে। কমিটির মাধ্যমে উপজেলার ৫ ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস বিষয়ে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়িতে, হোম কোয়ারেন্টাইনে
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন