parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির অভিযানে ৯টি বার্মিজ গরু জব্দ

রাতভর অভিযানের পর শনিবার (১৮ জুন) ভোরে মিয়ানমারের ৯ চোরাই গরু জব্দ করেছে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবির চৌকস একটি দল। জব্দকৃত গরুগুলো এখন ১১ বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদরে। যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সোপর্দ করতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিজিবি কর্তৃপক্ষ।

বিজিবি সূত্র আরো জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিজিবির এ দলটি স্থানীয় গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অপর একদল সদস্যকে নিয়ে অভিযানে নামে শুত্রবার (১৭ জুন) রাত ১০ টায়। তারা রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের মরিচ্যাচর বাঘঘোনা পাহাড়ে অভিযানে নামে গোপন খবরের ৬০ টি বা শতাধিক গরু জব্দ করতে। অভিযানিক দলটি গহীনরাতে টর্চলাইটের আলোতে চোরাকারবচরীরা লুকোচুরি খেলার আদলে বারবার বিভ্রান্তিতে ফেলে বিজিবি দলকে। বিজিবি ডানে গেলে চোরাইকারবারীরা বামে চলে। আর বামে গেলে উল্টো চলে। খেলা চলে ভোররাত ৪ টা পর্যন্ত। এ সময় পাহাড়ি জঙ্গলে ৯ টি গরুর সন্ধান পেয়ে এ গুলো জব্দ করে তারা।

স্থানীয়রা জানান, বিজিবি মূলত চোরাবারবারীদের আতঙ্ক। বিজিবি অভিযান শুরুর সাথে সাথে দিক্বিদিক ছুটাছুটি করতে থাকে চোরাকারবারীরা । তবে শেষ রক্ষা করতে পারে নি গরু চোরের দল। এ সব গরু জব্দ করে ১১ বিজিবি সদর দপ্তরে নিয়ে আসে। পাশাপাশি বাকি গরুগুলোও আটকে অভিযানে বিজিবি জোয়ানরা।

এ বিষয়ে ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাহিদ হোসেন বলেন, সীমান্তে চোরাকারবারীরা কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় হলেও সীমান্ত রক্ষীরাও তাদের শায়েস্তা করতে বদ্ধ পরিকর। শনিবারের অভিযানটিও ছিলো তার অংশ বিশেষ। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তজুড়ে বিজিবি কঠোর নজরদারীতে।

এর আগে সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর আলীকদম প্রশাসন ও সীমান্ত রক্ষীরা ৮০টি চোরাই গরু জব্দ করেছিল। যাতে প্রমাণ মেলে সীমান্তে চোরাকারবারীরা বেপরোয়া।

Exit mobile version