নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির অভিযান, চোরাকারবারিদের অপপ্রচার
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ১১ বিজিবির জোরদার ও সাড়াশি অভিযানের ফলে গুটি কয়েক চোরাকারবারি ও কিছু অবৈধ ব্যবসায়ীরা বিজিবির অভিযানকে বিতর্কিত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। পাশাপাশি বিজিবির অভিযানের বিরুদ্ধে চালাচ্ছে অপপ্রচার। তারা নানা কৌশলে এসব করছে সীমান্তে বিজিবির ধারাবাহিক অভিযানকে ধীরগতি ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে।
সরজমিনে সীমান্ত এলাকার স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব চোরাকারবারিরা সীমান্ত পয়েন্টে রাত জেগে পাহারা বসিয়ে বিজিবিকে নজরদারি করতেও সচেষ্ট রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে সীমান্তে উত্তেজনার সুযোগেকে কাজে লাগিয়ে পাচার কাজে চোখের ঘুম হারাম করেছে এই চক্রটি।
তারা মিয়ানমার থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অবৈধ পন্থায় চোরাই পণ্য পাচার শুরু করে। তখন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে চোরাকারবারির সংখ্যা ছিলো হাতে গোনা। এখন এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে ।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির সদস্যদের অভিযান জোরদার করার ফলে চোরাকারবারি রাত জেগে সীমান্ত পাহারা দিয়ে আসছে এই শীতের মাঝেও। বিগত দিনে দুর্গম পাহাড়ি পথ, ছড়া, নালা পাহারা দিতে গিয়ে হাতির আক্রমণের শিকার হয়ে ১১ বিজিবির আবদুল মান্নান নামের একজন নায়েব সুবেদার নিহত হয়েছে।
১১ বিজিবির অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার ও লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, মূলত সীমান্তে চোরাকারবারীদের তৎপরতা বন্ধের উপক্রম হওয়ায় তারা এখন বিজিবির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যাতে অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। চোরাচালানের সাথে জড়িতরা সীমান্তের হাট-বাজারের ইজারাদারদের কাছ থেকে কৌশলে টোল-টেক্সের রশিদ নিয়ে নির্বিঘ্নে গবাদি পশু নেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রতিনিয়ত বিজিবি তা প্রতিহত করে আটক অভিযান অব্যাহত রয়েছে।