parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে হেরে শিক্ষকের উপর হামলার অভিযোগ

নাইক্ষ্যংছড়িতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে সভাপতির পদে হেরে গিয়ে এক ই্উপি মেম্বারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার শিক্ষকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলা সদরের চাকঢালা মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকা জুড়ে তোলপাড় চলছে।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, এ মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির প্রতিনিধি নির্বাচন হয় গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার। শনিবার সকালে (২১ মে) সভাপতি নির্বাচন হয়। আর ফলাফল ঘোষণা হয় বেলা ২টায়। নির্বাচনে পাশ করেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সভাপতি ডা. সিরাজুল হক। আর হেরে যান স্থানীয় সদর ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মোহাম্মদ ইউছুপ। হেরে গিয়ে ইউছুপ মেম্বার তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার সামনে। এক পর্যায়ে তেড়ে আসে মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ও বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত মো. শিক্ষক জাহাঙ্গির আলমের উপর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউছুপ মেম্বার সভাপতির পদে হেরে গিয়ে হঠাৎ হামলা করে শিক্ষক জাহাঙ্গিরের উপর।

শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম বলেন, তিনি হামলার শিকার হয়েছেন কেন বুঝতে পারতেছেন না। ভোটের আগে তিনি কাউকেই কথা দেন নি যে অমুককে বা সমুককে ভোট দেবেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, তিনি রংপুরের মানুষ বলে আজ তার উপর এ অবস্থা! তিনি বিষয়টির কঠোর শাস্তি দাবি জানান।

কিন্তু সবাই এগিয়ে গিয়ে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যান তাকে। পুলিশকে খবর দিয়ে পুলিশের সহায়তায় সকলে কোন মতে উপজেলা সদরে ফিরে আসেন তারা।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সোহেল রানা বলেন, শিক্ষক নাজেহালের কথা তিনি শুনেছেন। যা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মাদ্রাসার অভিভাবক ও কমিটির সাবেক সদস্য শামশুল আলম বলেন, অনেক কষ্টে শিক্ষক পেয়েছি। এখন এ শিক্ষককে নাজেহাল করা মানে পুরো শিক্ষা সেক্টরকে অসম্মান করা। তিনি এ ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না।

নবনির্বাচিত সভাপতি ডা. সিরাজুল হক বলেন ঘটনাস্থলে তিনি উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষককে চরমভাবে নাজেহাল করা হয়েছে সবার সামনে। এঘটনার তিনি নিন্দা জানান পাশাপাশি বিচারের দাবি করেন।

তবে অভিযুক্ত মেম্বার মো. ইউছুপ বলেন, তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক না। তবে ঘটনার বিষয়ে যা সত্য পান তা জোর দিয়ে লেখার জন্যে তিনি (আপনারা) সাংবাদিকদের অনুরুধ জানান।

থানার অফিসার ইনচার্জ টানটু সাহা বলেন, নির্বাচনের পর হঠাৎ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ পাঠান তিনি। পরে শুনেছেন শিক্ষকের ঘটনাটি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তিনি কঠোরভাবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।

Exit mobile version