নাইক্ষ্যংছড়িতে রোহিঙ্গা সন্দেহে তালিকা থেকে ১৩ ভোটার বাদ, আটক ১

fec-image

পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়িতে হালনাগাদ ভোটার তালিকা থেকে রোহিঙ্গা সন্দেহে ১৩ জনকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপজেলা ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিশেষ কমিটি।

সোমবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন কচির কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন তারা।

কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু জাফর ছালেহ জানান, পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়িতে
রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ র্দীঘদিনের। ২০১৭ সালে হালনাগাদ ভোটার তালিকা চুড়ান্ত প্রকাশের পর ২০১৮ উপজেলার ঘুমঘুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ ঘুমধুম ইউনিয়নের ১৩ জন রোহিঙ্গা মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোটার হয়েছে মর্মে একটি অভিযোগ করেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। এরই প্রেক্ষিতে সোমবার বেলা ১১টায় এসব ভোটারদের কমিটির সামনে হাজির হতে বলা হয় প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র নিয়ে। কিন্তু অভিযুক্ত এ ১৩ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন ভোটার উপস্থিত হলেও বাকী ১০ জন কমিটির সামনে আসেননি।

তিনি আরো বলেন, যে ৩ জন উপস্থিত হয়েছেন তারাও কমিটির কাছে কোন তথ্য-প্রমানাদি উপস্থাপন করতে না পারায় তাদেরকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কমিটি। এ ছাড়া মো. রশিদ এক রোহিঙ্গা শাশুরিকে ছেলে পরিচয় দিয়ে ভোটার হওয়ার প্রমান পাওয়ায় তাকে পুলিশে তুলে দেন এ কমিটি।

তবে কমিটির কাছে উপস্থিত হওয়া এক ভোটার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আসলে তিনি বাংলাদেশী। বিগত ২০ বছর আগে তিনি বাড়ি থেকে বাঁশ কাটতে গেলে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী কর্তৃক সীমান্তের শূণ্য রেখায় পূঁতে রাখা মাইন বিষ্ফোরণে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে কাটিয়েছেন ২ বছর। তার দু’পা উড়ে গিয়েছিলো সে সময়। চোখও হারান ১টা। এখনও একই অবস্থা। বর্তমানে ৪ জন সন্তান নিয়ে অমানবিক জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। এরই ফাঁকে বর্তমানে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। সে গত বারও ভোট দিয়েছেন। আর এখন বাদ দেওয়া মানে, তাকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করা। তিনি এর প্রতিকার চান।

চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ জানান, তিনি রোহিঙ্গার ব্যাপারে আপোষহীন। ১৩ রোহিঙ্গার বিষয়ে তিনি সঠিক কাজই করেছেন। ছাড় দেবেন না।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়িতে, ভোটার বাদ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন