নাইক্ষ্যংছড়িতে শান্তি পূর্ণ, ঘুমধুমে সংঘাতের মধ্যদিয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন


বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে তিনটি ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও ঘুমধুম ইউনিয়নে নির্বাচনী সংঘাতের কারণে প্রাণ হারিয়েছে ২জন।
এর আগে সোমবার সকাল ৯টা থেকে তিন ইউনিয়নের ২৮টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। সকালে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।
সরেজমিনে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। কড়াকড়ির মাঝেও সকাল ১১টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের কচুবনিয়া কেন্দ্রে মহিলা মেম্বার পদের হেলিকপ্টার প্রতীকের প্রার্থী রেহেনা আক্তারের স্বামী মোজাফ্ফর আহমদকে পুলিশ লাঠিপেটা করলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এসময় কেন্দ্রে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিজিবি ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ১ ও ২নং কেন্দ্রে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর ৮ জন এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রার্থী রশিদ আহমদ। তবে অন্যান্য ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
উপজেলা রিটার্নিং অফিসার আবু জাফর মো. ছালেহ জানান, বিচ্ছিন্ন দুয়েকটি ঘটনা ছাড়া তিন ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটাররাও নিরাপদে ভোট দিতে পেরেছেন।