parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়িতে সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টি

দেশের পূর্ব সীমান্তে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের রামু উপজেলায় সারাদিনে সূর্যের দেখা মেলেনি। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অবস্থা ছিলো উপজেলা দুটিতে। এদিকে নাইক্ষ্যংছড়িতে সন্ধ্যায় এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে।

কৃষি অধ্যুষিত এ দু’উপজেলায় এ কারণে কৃষি ক্ষেতে পোকা মাকড়ের উপদ্রব দেখা দেয়। তীব্র শীতে বাড়ি-ঘর বের হয়নি অনেকে। শ্রমজীবী মানুষ কাজে যেতে পারেনি ।

একই সাথে বেগুন ক্ষেতসহ নানান সবজি চাষে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব থামাতে কৃষকরা দৌড়ঝাঁপ দিতে দেখা গেছে। কীটনাশক (ঔষধ) ছিটাতে দেখা গেছে কৃষি ক্ষেতে। বর্তমানে রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে শীতকালীন সবজি চাষে ছেয়ে গেছে সর্বত্র।

বাইশারীর কৃষক শামশুল আলম গর্জনিয়ার কৃষক মো. আইয়ুব ও ঘুমধুমের ছৈয়দ নুর জানান, সারা দিন সূর্যের দেখা না মিললেও সন্ধ্যার পর দেখা মেলে এক পশলা বৃষ্টির। তারা এ বৃষ্টিকে তাদের উপকারের দৃষ্টিতে দেখছেন না।

তারা জানান, আরো বৃষ্টি হলে তাদের শীতকালীন ফসলের ক্ষতি হবে। নানা জাতের পোকা তাদের ক্ষেত নষ্ট করে ফেলবে।

এদিকে বৃষ্টিতে ক্ষতির আশঙ্কয় দু’উপজেলায় স্থাপিত অন্তত ২৫টির অধিক ইটভাটার মালিকরা কিছুটা দুচিন্তায় পড়েছে। কারণ তাদের শ্রমিকরা ইটভাটায় নেই। বৃষ্টি হলে কাঁচা ইটগুলো নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ইটভাটার মালিক হায়দার আলি জানান, রাতে আরো বৃষ্টি হলে তাদের হাজার হাজার ইট নষ্ট হবে। এ আশঙ্কায় তারা তটস্থ।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানী বলেন, শুধু কৃষি ক্ষেত নয়, তার এলাকার রাবার বাগান শ্রমিকদের দুর্ভোগ ছিলো সারাদিন। সন্ধ্যার পর সামান্য বৃষ্টি নামে। যাতে দুচিন্তায় পড়ে কৃষকসহ পাহাড়ের শ্রমজীবী লোকজন। বিশেষ করে শীতে কাতর পাহাড়ীরা।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, সারাদিন সূ্যের দেখা মেলেনি ঠিকই তবে এতে কৃষকদের তেমন ক্ষতি হবে না।

Exit mobile version