নাইক্ষ্যংছড়িতে সেই ২৭ শিক্ষকের ঈদ বোনাস বিল অনুমোদন

fec-image

নানা জটিলতা উপেক্ষা করে নাইক্ষ্যংছড়ি সরকারি কলেজের ২৭ শিক্ষকের বেসরকারি ঈদ বোনাস বিল অনুমোদন দিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস। বুধবার (১৮ মে) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এ বিল অনুমোদন দেন তিনি।

এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ ও আ ম রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক এমদাদুল্লাহ, সদর চেয়ারম্যান নুরুল আবসার, প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দিন খালেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দীর্ঘ ৭ মে থেকে দীর্ঘ আন্দোলনের পর বেসরকারি ঈদ বোনাস বিল অনুমোদনে মহাখুশি নাইক্ষ্যংছড়ি হাজি এম এ কালাম সরকারি কলেজের আন্দোলনরত ২৭ শিক্ষক।

এ বিষয়ে কলেজের সিনিয়র শিক্ষক এমদাদুল্লাহ মো ওসমান বলেন, শিক্ষকরা আসলেও অসহায়। তারা সকলের কাছে ধর্ণা দিয়েও ঈদের আগে বেসরকারি ঈদ বোনাস পাননি। এরই মধ্যে অফিসিয়াল কারণ দেখিয়ে কলেজ অধ্যক্ষও বিলে স্বাক্ষর করেননি। তাই শিক্ষকরা পরিবারের কাছে ছিলো হেয়’র পাত্র। অবশেষে উপায় না পেয়ে তারা আন্দোলনে নামে।

কলেজ শিক্ষক পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, ঈদ বোনাস পেয়ে তারা খুশি। তবে সোয়া ২৯ লক্ষ টাকা জমা রেখে বেতন ভাতা না দেয়ার কথা ২০১৬ সালের চুক্তির কোথাও উল্লেখ নেই। তাই এটির অজুহাতে ২৭ শিক্ষক যেন মাসিকভাবে পেয়ে আসা পাহাড়ি ভাতা, হাউজ এলাউন্স ও প্রভিডেন্ট ফান্ড পাওয়ার বিষয়ে কোন সমস্যা না হয় সেটি-ই তাদের কাছে মূল কথা।

তিনি বলেন, তারা ২৭ শিক্ষক এখন চরম অর্থ সংকটে। তবুও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহ মধ্যস্থতায় সোমবার বৈঠকের পর তারা ক্লাসে ফিরেছেন মঙ্গলবার থেকে।

কলেজ অধ্যক্ষ ও আ ম রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন সমস্যা সমাধান হয়ে গেলো। অন্যান্য বিষয় নিয়ে আর সমস্যা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস বলেন, ২৭ শিক্ষকের ঈদ উৎসব ভাতার বিল তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন কলেজের কল্যাণ। আর ২০১৬ সালে এ কলেজ সরকারি করণের সময় সরকারের সাথে কলেজের যে যুক্তি ছিলো সেখানে কলেজের আয়কৃত টাকা নিদিষ্ট খাতেই খরচ করা যাবে, অন্য খাতে নয়। সে সময় ২৯ লক্ষ ২০ হাজার ৭ শত টাকা কলেজের এ ফান্ডে জমা ছিলো। যা অফিসিয়াল জটিলতায় স্থিতি রাখতে হবে। এ ফান্ডে অতিরিক্ত ১১ লক্ষ টাকা রয়েছে। যে টাকা থেকে তিনি শিক্ষকদের চাহিদা মাফিক ৭৫% বেসরকারি ঈদ বোনাস দিতে বিল অনুমোদন দিয়েছেন। যা আজ-কালের মধ্যে উত্তোলন করতে পারবেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন