parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়ির চাক ঢালায় অসহায় পরিবারের পাহাড়ি ভূমি দখলে মরিয়া এক প্রভাবশালী

বাইশারী প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২৭০নং নাইক্ষ্যংছড়ি মৌজার চাক ঢালা গ্রামে গয়াল কাটা নামক এলাকায় খোরশেদ আলমের দীর্ঘ দুই যুগ আগের দখলীয় পাহাড়ি ভূমি দখলের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।

এই নিয়ে খোরশেদ আলম নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানান গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭। তারপরও স্থানীয় প্রভাবশালী রশিদ আহামদ তার ছেলে আব্দুল্লাহ এবং ইউছুফ আলীর পুত্র মো. আলী গত এক সপ্তাহ ধরে বহিরাগত লোকজন নিয়ে খোরশেদ আলমের দীর্ঘদিনের সৃজিত বনজ-ফলদসহ নানা জাতের গাছপালা কেটে লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে বলে জানান।

ওই ঘটনায় গত ২৬ ডিসেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি তদন্ত জায়েদ নুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং উভয়কে ওই ভূমিতে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের কাজ কর্ম থেকে বিরত থাকার কথা জানিয়ে দেন। কিন্তু তারপরও মানছে না প্রভাবশালী মহলটি।

গতকাল সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমান জমির মালিক খোরশেদ আলম দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সময় ধরে গাছপালা, কলা বাগান, শাক-সবজি লাগিয়ে ওই পাহাড়ি ভূমি আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। হঠাৎ করে একই এলাকার বাসিন্দা রশিদ আহামদ তার ছেলে আব্দুল্লাহ এবং ইউছুফ আলীর পুত্র মো. আলী বহিরাগত লোকজন নিয়ে ভূমি দখলের চেষ্টা চালানোর ঘটনায় স্থানীয় শত শত লোকজন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায়, ওই প্রভাবশালী মহল ইতিপূর্বেও এভাবে জবর দখল করে অনেক অসহায় লোকজনের জমি দখল করে নিয়েছে।

ভূমির মালিক খোরশেদ আলম জানান, সে ওই পাহাড়ি ভূমি আবাদ করতে গিয়ে সাপ, বিচ্ছু, পোকা-মাকর, মশা-মাছির কামর খেয়ে অনেকবার ম্যালেরিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া ওই পাহাড়ি ৫০ একর ভূমি তিনিসহ পরিবারের ৪জনের নামে রাবার ও হর্টিকালচার বাগান করার নামে হেডম্যান প্রতিবেদনসহ ভূমি মন্ত্রণালয় বরাবর একখানা আবেদন করেছেন বলে জানান। বর্তমানে আবেদনটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বন্দোবস্তির প্রসেসিংএ রয়েছে। খোরশেদ আলম আরো জানান, বর্তমানে তিনি প্রভাবশালীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

গয়াল কাটার স্থানীয় বাসিন্দা উমেছা তঞ্চঙ্গ্যা, মো. ইসমাইল ও অংছাথোয়াই কারবারী সহ অনেকে জানান, ওই পাহাড়ি ভূমি খোরশেদ আলম দীর্ঘদিন যাবৎ দখলসহ নানা জাতের গাছপালা সৃজন করে ভোগ দখল করে আসছেন। তাই অসহায় পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

Exit mobile version