parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে বন্ধ হলো মিয়ানমারের বিজিপি’র নেট তৈরির কাজ

বাইশারী প্রতিনিধি:

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু শূন্য রেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরিয়ে দিতে মিয়ানমার বিজিপির তৈরি করা নতুন ফাঁদ ভেস্তে গেছে বিজিবির বাঁধায়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঘন ঘন গুলিবর্ষণ, রাতে কাঁটাতার ঘেঁষে অতিরিক্ত সৈন্য সমাবেশসহ তুমব্রু খালে ব্রিজের নিচে লোহার রড দিয়ে নেট তৈরি করছিলো।

 

অবশ্যই মিয়ানমার দাবি করছে, তাদের সীমান্তে আরাকান আর্মির তৎপরতায় সেনা মোতায়েন এবং সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্রিজের নিচে লোহার নেট দেওয়া হচ্ছে।

এই ঘটনায় সীমান্তে বসবাসকারী রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মাঝে নতুন করে আতংক দেখা দেয়।

এ ঘটনায় রবিবার (৭ এপ্রিল) তুমব্রু খালের ব্রিজের নিচে লোহার নেট তৈরির কাজ বন্ধ করতে জোর প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন (বিজিবি)।

তারই ফলশ্রুতিতে নেট তৈরির কাজ বন্ধ করে দিয়ে মিয়ানমার বিজিপির সদস্যরা শূন্য রেখা থেকে সরে গেছে বলে বিজিবি সূত্র জানিয়েছে।

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, বিজিবির কড়া প্রতিবাদে মিয়ানমার বিজিপির সদস্যরা কাজ না করে আপাতত তারা তাদের অভ্যন্তরে ফিরে গেছে।

সীমান্তে মিয়ানমার অতিরিক্ত সেনা ও বিজিপি’র মোতায়নের সত্যতা স্বীকার করেন বিজিবি অধিনায়ক আরও বলেন, আরকান আর্মির তৎপরতার কারনে মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি টহল জোরদার করেছে বলে আমাদেরকে জানিয়েছে। এতে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে সীমান্তের যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিজিবি সতর্ক রয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন নিপিড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে এসে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের শূন্য রেখায় আশ্রয় নেয় প্রায় সাড়ে ৬ হাজার রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন এনজিও সংস্থা মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। শূন্য রেখার অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সরাতে নানা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার বিজিপি। এজন্য সীমান্তে দেশটির অভ্যন্তরে ঘন ঘন গুলিবর্ষণ, অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি, রাতে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটানো হচ্ছে। তারপরও শূন্য রেখা ছাড়তে রাজি নন আশ্রিত রোহিঙ্গারা।

Exit mobile version