parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ২৫টি চোরাই গরু জব্দ

মিয়ানমারের রামপুর থেকে গরুর একটি চালান নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পয়েন্ট দুগর্ম পথ দিয়ে আলীকদম বাজারের নেয়ার সময় জব্দ করেছেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহরুবা ইসলাম।

বুধবার (১৮ মে) বিকেলে ৩ নং নয়াপাড়া ইউনিয়নের বাবু পাড়া থেকে এসব গরু জব্দ করেন তিনি।

ইউএনও মেহরুবা ইসলাম বলেন, অবৈধভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে পাচারে উদ্দেশ্যে আনা ২৫টি গরু জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত গরুর মালিকের কাছে বৈধ কোন প্রকার কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এসব গরু গরু থানা সোপর্দ করা হয়েছে ।

এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে অন্ততঃ ২৮/৩০ জন মিয়ানমারের চোরাকারবারী চোরাই ব্যবসা করে। যাদের অধিকাংশের বাড়ি রামু কচ্ছপিয়ায় । বাকীরা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ও দোছড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার। যারা ৫ গ্রুপে কাজ করে। আর তাদের ৩ গ্রুপ এখন আলীকদম- নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টের দুর্গম একটি পথ বেঁচে নেন। যা দিয়ে গত ১ মাসে অন্তত ২ শতাধিক গরু ভুয়া কাগজ সৃজন করে এখানে নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর সংলগ্ন রামুর গর্জনিয়া বাজার ও আশপাশের বাজারে বিক্রি করছে।

স্থানীয় একাধিক সচেতন ব্যক্তি বলেন, বর্তমানে টেকনাফ, উখিয়া ও ঘুমধুমের আদলে প্রাণীর পেটে ইয়াবা আইস আনার চেষ্টা করছে চোরাই গরু কারবারীরা। যা একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও আলীকদমকে ইয়াবা-আইস ও চোরাই স্বর্ণের জোনে পরিণত করবে।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ হোসেন বলেন,চোরাকারবারীদের দিন শেষ।

তিনি শুনেছেন আলীকদম পয়েন্ট দিয়ে গরু পাচারের চেষ্টা হচ্ছে, যা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে করা হয়েছিলো,পারে নি। এখন অন্য পয়েন্টে গেছে তারা।

তিনি আরো বলেন, তিনি ইতিমধ্যে সীমান্ত পয়েন্টে লোক লাগিয়ে দিয়েছেন খোঁজখবর নিতে। যাচাই করে কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version