parbattanews

নাইক্ষ্যংছড়ি সোনাইছড়ির দিনমজুরের মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দরবান:

বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়িতে দরিদ্র দিনমজুরের শেষ সম্বল মাথা গোজার ঠাঁই পুড়িয়ে দেওয়া সংক্রান্ত মামলা নিতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবান অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল (আমলী) আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন এই নির্দেশ দেন। এবং কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আগামী ৭মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন এই আদালত। বাদী পক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি জারুলিয়াছড়ির বাসিন্দা ছায়েরা খাতুন ও ইমাম হোসেনের বসতী ঘরটি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় কিছু চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারীরা। এতে করে অসহায় পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছে। ঘটনার প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেও ব্যর্থ হয়েছে দিনমজুর পরিবারটি।

সরেজমিনে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়াছড়ি ঘটনাস্থল এলাকা পরিদর্শন ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছায়েরা আক্তার ও ইমাম হোসেন দিন মজুর। তাদের নিজস্ব কোন সহায় সম্পত্তি না থাকায় অন্যের জায়গা পাহারা দিয়ে বাঁশের বেড়া ও ছনের ছাউনী দিয়ে পরিবারের মাথা গোজার ঠাঁই তৈরি করে। কিন্তু স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারীরা ওই জমি ও মূল্যবান গাছের উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় দুষ্কৃতিকারীরা জায়গা থেকে মূল্যবান গাছ কর্তন এবং ছায়েরা আক্তারের পরিবারের উপর ধারাবাহিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করার পর আরো বেশি নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে দরিদ্র দিনমজুর এই পরিবারটি।

সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে দুষ্কৃতিকারীরা ছায়রা আক্তার ও ইমাম হোসেনের বসতঘরটিতে আগুণ দিয়ে সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়। অগ্নিকাণ্ডে ঘরে রক্ষিত জীবনের শেষ সম্বলের সবকিছু নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনার পর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে থানার সাব ইন্সপেক্টর নুরুল আমিন অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেন।

সেদিন থেকে খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছে ছায়েরা আক্তার ও তার পরিবার। ছায়েরা আক্তারের স্বামী দিনমজুর ইমাম হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান- দুষ্কৃতিকারীরা সব কিছু পুড়িয়ে দেওয়ায় বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে দিনযাপন করছে। ঘটনার সাথে জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা কর্তৃপক্ষ আমার মামলা নেয়নি। পূর্বের একটি অভিযোগের সাথে জিডি আকারে লিপিবদ্ধ করেছে। যার কারণে তার স্ত্রী ছায়েরা আক্তার বাদী হয়ে বান্দরবান জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রোববার (৩মার্চ) ঘটনার বিষয়ে ছুরুত আলম (৪০), শাহ আলম (৪৫), নুরুল আবছার (২৫) ও নুরুল আমিন (২১)সহ চার জনকে আসামি করে একটি (৩৩/১৯) মামলা দায়ের করা করেন।

Exit mobile version