নাফনদীতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার : আবারও গোলাগুলির শব্দ

মিয়ানমারের সংঘাতের জের ধরে চলাচল পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে টেকনাফের কোন নৌযান যেন বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় না যায় তার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে সতর্কতা। একই সঙ্গে জরুরী প্রয়োজনে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রীবাহি নৌযান কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় চলাচল করবে। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহেসান উদ্দিন। অন্যদিকে আবারো মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলা গুলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে বলে জানান সীমান্তবর্তী এলাকার লোকজন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহেসান উদ্দিন জানান, নাফ নদীতে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। তা গত সরকারের আমল থেকে কার্যকর। এখনও নাফনদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। তবে নাফনদী দিয়ে সমুগ্রগামি মাছ ধরার ট্রলার যাতায়াত করতে পারবে।
এক্ষেত্রে কোন ভাবেই যেন বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে মিয়ানমারের কাছাকাছি না যায় তার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ট্রলার মালিক, জেলেদের সাথে আলোচনা হয়েছে। টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটে যাত্রীবাহি নৌ যান চলবে কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায়। এর জন্য সকল নিদের্শনা প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের মংডু শহর নিয়ন্ত্রণের পর কোন শব্দ শোনা না গেলেও বৃহস্পতিবার রাত থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহেসান উদ্দিন জানিয়েছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। তা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে। যদিও এই শব্দ বিকট না।
গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের মংডু শহর শতভাগ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদি গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এর পর নাফনদীর মিয়ানমারের অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিবৃতি প্রকাশ করে আরাকান আর্মি।
এমন পরিস্থিতিতে নাফনদীর বাংলাদেশ অংশে টহল জোরদার রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ। পাশাপাশি টহল জোরদার রয়েছে কোস্টগার্ডের।