নাফনদী কেন্দ্রিক ভূ-রাজনৈতিক সংকট


মিয়ানমারের রাজনীতি নিয়ে, নন-স্ট্যাট আর্মড একটর্স কার্যকলাপ নিয়ে বিস্তর আগ্রহ কাজ করে আমার। সে ২০২০ সালে ব্যাচলর পড়াকালীন সময়ে মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে একটি কাজ করার সুযোগ হয় লন্ডনের এক পত্রিকায়।
এরপর থেকে মিয়ানমার নিয়ে বিস্তর আগ্রহ কাজ করে, কাজও করছি এই রিজন নিয়ে, প্রতিদিনই ভালো লাগে যে কাজ ও কাজের গতিকে সচল রাখার জন্য অনেক মেটেরিয়ালস পাই। আমি মিয়ানমার ফোকাসড জার্নালিস্ট। সেখানে এবং বাংলাদেশের ট্রান্সবর্ডার সিকিউরিটিই আমার অন্যতম আগ্রহের বিষয়।
একটি বিষয় নজরে আসলো-
বাংলাদেশে স্ট্রাটেজিক পলিসি বা ইন্সটিটিউশনসগুলো লিড করে ডিফেন্স থেকে আসা মানুষেরা। সিভিল ডিফেন্স এনালাইসিস করার, বা একাডেমিক গ্রাউন্ড, গবেষক বাংলাদেশে নেই বললে চলে।
মিলিটারি বা ডিফেন্স সায়েন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ডিফেন্স সায়েন্সের কোর একাডেমিক ও পলিটিক্যাল পলিসির কানেকশন থাকতে হয় সেটার অনুপস্থিতি বাংলাদেশে নাই। নাই সেকারণে এক সাবেক সেনা কর্মকর্তা নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া নিয়ে উদ্ভট এক মন্তব্য করে বসেছেন, যে মন্তব্য খুবই উত্তেজনার।
প্রপার ডিফেন্স ট্রেনিং থাকলে যুদ্ধ জেতা যায় না। যুদ্ধের আপার হাউস হলো কূটনীতি ও রাজনীতি। এই ধারণা বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে অনুপস্থিত এমনকি মন্তব্যের প্রেক্ষিতধরে বলা যায় সেটি নিরাপত্তা স্টেকহোল্ডার্সদের মধ্যেও অনুপস্থিত।
একদল লোক নাফনদী কেন্দ্রিক ভূ-রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হওয়াকে ভয়াবহভাবে এভয়েড করতে চান- সে একই দলের লোক নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া নিয়ে বিস্তর কথা বলেন, এমনকি যুদ্ধের কথা বলে যাচ্ছেন। সব কনফ্লিক্টের সমাধান হয়, ট্রেডিশনাল মডেলেও করা যায়, মডার্ন মডেলেও করা যায়। নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া বাংলাদেশের সম্ভাবনা নয়, দুর্দশা।
মিয়ানমার দশকের পর দশক রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে চলেছে, এমনকি গণহত্যা করেছে। কিন্তু তারা ডিসকোর্স তৈরী করেই যাচ্ছে। সেগুলোতে বাংলাদেশ সহসাই হেরে বা কাবু হয়ে যাচ্ছে। তার কারণ হলো বাংলাদেশে প্রপার একাডেমিক ও রিসার্চ বেইসড ইন্টালেজিন্সিয়া নাই। সেখানে মিয়ানমার বিভিন্নভাবে এগিয়ে।
এই যে আরকানের ডিফেক্টোর সাথে আলোচনা ও যোগাযোগ অনিবার্য হয়েছে সেটিকে রাজনৈতিক ডিমান্ডে ফেলাটাও পপুলিস্ট ব্যাপার। ইন্টেরিম যেহেতু আলোচনা করেনি, সেহেতু রাজনীতিবিদদের স্টেটমেন্ট না দিয়ে বরং ইন্টেরিমের সাথে আলোচনা করাটা ওয়াইস স্টেপ হতে পারতো।
এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে আসা যেতো। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান ও বাংলাদেশের ইস্ট রিজওনকে একনলেজ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে যদি ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারা যায় তাহলে অনেক কিছুই অনিবার্য।
ইন্সটিটিউশনাল গ্যাপের কারণে বাংলাদেশ আরো আরো পিছিয়ে যাবে।
এই চিন্তাটা আমার মাথাতে আসার কারণ হলো আজ আমি মিয়ানমারের নন স্ট্যাট অথরিটি গুলো কিভাবে ইকোনমিক গভার্নেন্স তৈরী করছে সেটির একটি বিস্তারিত লেখা পড়ার পর।
সূত্র : লেখকের ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া