parbattanews

নাফ নদীতে বিজিবি-বিজিপি যৌথ টহল

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর মধ্যে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে নাফ নদীতে যৌথ টহল পরিচালনা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে এই সমন্বিত টহল পরিচালনা করা হয়।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সকল প্রকার প্রটোকল মেনে সীমান্তের শূন্য লাইনে নাফ নদীতে বিজিবি-বিজিপি পর্যায়ে যৌথ টহল পরিচালনা করা হয়। তার নেতৃত্বে উক্ত যৌথ টহলে ১২ সদস্য এবং বিজিপি’র পক্ষে ১২ সদস্য অংশ নেয়। বিজিপির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১নং বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইয়ে ওয়াই শো।

যৌথ টহল সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয়ে দুপুর পৌনে একটা পর্যন্ত চলে। যা অত্যন্ত শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সমাপ্তি হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মার্চ থেকে প্রায় ৩ বছর বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে মায়ানমার সীমান্তে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে উভয় দেশের মধ্যে যৌথ টহল বন্ধ ছিল, যা সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় বিরূপ প্রভাব ফেলছিল। এরই প্রেক্ষিতে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঐকান্তিক ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এবং গত বছরের ৩০ অক্টোবর বিজিবি-বিজিপি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে উভয় দেশের সম্মতিতে সীমান্তে সার্বক্ষণিক নজরদারির লক্ষ্যে এই যৌথ টহল শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়। যার প্রেক্ষিতে ২৪ জানুয়ারি উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ টহল পরিচালনার কার্যক্রম শুরু করে। যৌথ টহল পরিচালনার ফলে নাফ নদীতে যে সকল দ্বীপ বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমারেখা বরাবর অবস্থিত এবং যে সকল দ্বীপসমূহ চোরাকারবারী অথবা দুস্কৃতিকারী দলের অভয়াশ্রম হিসেবে ব্যবহার হতো। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে সে সকল দ্বীপসমূহে স্ব স্ব  নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে।

ভবিষ্যতেও দুটি বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্রের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর যৌথ টহল কার্যক্রম চলমান থাকবে। উভয় দেশের সীমান্ত ৎরক্ষী বাহিনী এই যৌথ টহল কার্যক্রম চলমান রাখার মাধ্যমে নিজস্ব সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে পারবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

Exit mobile version