নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলেন বিজিপির আরও ৮৮ সদস্য


কক্সবাজার টেকনাফে নাফ নদী পেরিয়ে শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৮৮ সদস্য। এদের মধ্যে ৩ জন সিনিয়র অফিসার রয়েছে বলে জানা গেছে। অনুপ্রবেশের সাথে সাথে টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশনের সদস্যরা বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্রকরণ করে তাদের হেজাফতে নিয়েছে।
রবিবার (৫ মে) ভোরে ৩টি কাঠের ট্রলার যোগে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় কোস্টগার্ড তাদের আটক করে।
পরে তাদের পরিচয় শনাক্ত করে কোস্টগার্ডের কড়া পাহারায় দুইটি বাস ও একটি মাইক্রোবাসে করে সন্ধায় হৃীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে আনা হয়েছে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা হৃীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে অবস্থান করছেন। এই পর্যন্ত হৃীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২৮ জন বিজিপি সদস্য অবস্থান করছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে কোস্টগার্ডের কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি। কোস্টগার্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ বিয়য়ে কথা বলেননি বিজিবির কোন কর্মকর্তাও। তবে বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেয় বিজিবি।
উল্লেখ্য, এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমার সেনাবাহিনী, বিজিপিসহ ৬১৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল ২৮৮ জন এবং গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।