ডাকসু নির্বাচনে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা

আর্থিক অস্বচ্ছল স্টুডেন্টদের ইন-ক্যাম্পাস জবে প্লেস করা হবে : উমামা ফাতেমা

fec-image

আর্থিক অস্বচ্ছল স্টুডেন্টদের ইন-ক্যাম্পাস জবে প্লেস করার প্রতিশ্রুতি দিলেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা। ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এক উন্মুক্ত সংলাপে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে তিনি এ প্রতিশ্রুতির কথা জানান।

প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটছে ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন এলাকায় প্রচারণায় গেলে এক শিক্ষার্থী তাঁর হাতে ভালোবেসে আইসক্রিম তুলে দেন। তিনি আনন্দের সাথে তা গ্রহণ করেন। উমামা ফাতেমা মনে করেন, নারীদের ভোটকেন্দ্রে আনা বড় চ্যালেঞ্জ। এবার ৪৭ শতাংশ ছাত্রী ভোটারই ডাকসুর গতিমুখ নির্ধারণ করবেন। তাঁরাই ডাকসুতে ব্যবধান গড়ে দেবেন।

৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এবার মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। যার মধ্যে ছাত্রী ভোটার রয়েছে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।

গতকাল শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে প্রচারকালে এক প্রশ্নের জবাবে উমামা ফাতেমা সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েরা সহজে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হন না। মেয়েদের একটা যুক্তিসংগত চিন্তা থাকে। স্বাধীনচেতা হয়ে ছাত্রীরা ভোট দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ফলে এবার ৪৭ শতাংশ ছাত্রী ভোটার আসলে কোথায় ভোট দিচ্ছেন, সেটির ওপরে নির্ভর করবে ডাকসুর গতিমুখ। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, মেয়েরাই এবার ডাকসুতে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার বড় ফ্যাক্টর।’

ছাত্রীদের ভোটকেন্দ্রে আনা চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে উমামা ফাতেমা বলেন, ‘মেয়েদের ভোট আনার প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো অনেকেই বাসায় চলে গেছেন। অনেকের আবার পরীক্ষার প্রস্তুতি ছুটি চলছে। আবার অনেকে ডাকসুকে শুধুই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে চিন্তা করেন। এ জন্য মেয়েদের মধ্যে ভোট দিতে অনাগ্রহ কাজ করে।’ তিনি বলেন, ‘আবার অনেকের পরিবার থেকে ফোন করে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আমি মনে করি মেয়েদের ভোট কেন্দ্রে আনা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার মেয়েদের ভোটকেন্দ্র হল থেকে দূরে দূরে রাখা হয়েছে। এতে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কমবে।’

উমামা ফাতেমা বলেন, ‘ছাত্রীরা সবাই যদি ভোট দিতে আসেন, তাহলে ভোটার অংশগ্রহণ ৩৫ হাজারের বেশি হয়ে যাবে। আমরা আশা করি, মেয়েরা গণহারে ভোট দিতে আসবেন। আমরা তাঁদের উৎসাহিত করছি।’

ইশতেহার বাস্তবায়ন করা যাবে না, এমন কিছু রাখেননি বলেন উমামা ফাতেমা। ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করা দরকার। সেই জায়গায় প্রশাসন, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রসংগঠনের মধ্যে একটি সামাজিক সংলাপ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বলেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ডাকসু, ডাকসু নির্বাচন, ঢাবি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন