নারীর মরদেহ মিলল কুমিরের মুখে
বিশালাকৃতির একটি কুমিরের মুখের ভেতর পাওয়া গেছে এক নারীর মরদেহ। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের কর্মকর্তারা ওই নারীর দেহাংশ উদ্ধার করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জানিয়েছে, টেক্সাসের হোস্টনে এক নারী নিখোঁজ হন। নিখোঁজ এ নারীকে উদ্ধারে চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। এর মধ্যেই কুমিরের মুখের ভেতর নারীর মরদেহ পাওয়া যায়।
ওই দেহাংশের যেন আরও কোনো ক্ষতি কুমিরটি করতে না পারে সেজন্য এটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হোস্টন পুলিশের কর্মকর্তারা এখন মরদেহটির ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে তাদের ধারণা ৬০ বছর বয়সী যে নারী নিখোঁজ হয়েছিলেন এটি তারই মরদেহ হবে।
এছাড়া তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে এই কুমিরটি এই নারীকে হত্যা করেছিল— নাকি তিনি মারা যাওয়ার পর তার মরদেহটি নিজের মুখে নিয়েছিল কুমিরটি।
আট মাস আগে ফ্লোরিডাতে একই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল এবং কুমিরটিকে হত্যা করা হয়েছিল। ফ্লোরিডার কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন তারা ১৩ ফুট লম্বা ওই কুমিরটিকে রাস্তায় মরদেহের খণ্ড নিয়ে হাঁটতে দেখেন। এরপর এটিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
পরবর্তীতে জানা যায় মরদেহটি ছিল ৪১ বছর বয়সী সাব্রিনা পেকহ্যামের।
ফ্লোরিডায় কুমিরের আক্রমণ খুবই সাধারণ একটি বিষয়। তবে টেক্সাসে এ ধরনের ঘটনা খুবই বিরল। টেক্সাসে এর আগে কুমিরের আক্রমণে শেষ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২০১৫ সালে। ওই সময় সাঁতার কাটার সময় ২৮ বছর বয়সী এক যুবককে হত্যা করে একটি কুমির।
সূত্র: বিবিসি