নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের মৃত্যুর হার কম: গবেষণা


চিকিৎসা ও গবেষণা বিষয়ক জার্নাল ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’ তাদের এক নতুন গবেষণাপত্রে জানিয়েছে, যেসব রোগী নারী চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা নেন তাদের মৃত্যুর হার কম। এছাড়া নারী চিকিৎসকের সেবা নেওয়া রোগীদের হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনাও কম।
২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৭ লাখ ৭৬ হাজার রোগীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। যার মধ্যে ৪ লাখ ৫৮ হাজার ১০০ জন ছিলেন নারী। আর পুরুষ ছিলেন ৩ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ জন।
গবেষণায় দেখা গেছে “নারী চিকিৎসকের চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের মৃত্যু এবং হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি হওয়ার হার কম ছিল।”
যেসব নারী রোগী নারী চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের মধ্যে মৃত্যুর হার কম ছিল। নারী চিকিৎসকদের দ্বারা চিকিৎসা নেওয়া নারী রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর পুরুষ চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা নেওয়া নারী রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
অপরদিকে যেসব পুরুষ রোগী নারী চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন তাদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ১৫ শতাংশ। অপরদিকে পুরুষ চিকিৎসকের দ্বারা চিকিৎসা নেওয়া পুরুষ রোগীদের মৃত্যুর হার ছিল ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ।
গবেষক ইয়োসুকে তুগাওয়া বলেছেন, “এটি উল্লেখযোগ্য যে নারী চিকিৎসকরা ভালো মানের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। সামাজিক দিক দিয়ে নারী চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীরা লাভবান হন।”
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, নারী চিকিৎসকরা রোগীদের সঙ্গে কথা বলতে বেশি সময় ব্যয় করেন এবং রোগীদের রোগ সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ খবর নেন। এছাড়া নারী চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে নারী রোগীরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
কেন নারী এবং শিশুরা শেতাঙ্গ রোগীদের চেয়ে খারাপ চিকিৎসা পেয়ে থাকেন সেটি নিয়ে একটি গবেষণা চালানো হচ্ছে। এই গবেষণারই অংশ এটি।
২০০২ সালে চালানো আলাদা একটি গবেষণায় পাওয়া গিয়েছিল একজন নারী চিকিৎসক একজন রোগীর পেছনে গড়ে ২৩ মিনিট সময় ব্যয় করেন। সেখানে পুরুষ চিকিৎসক গড়ে ২১ মিনিট সময় ব্যয় করেন।