বিশেষ বিমানে দেশে ফিরে গেলেন মিয়ানমারের সেনা, বিজিপিসহ সাজাপ্রাপ্ত ৪০ নাগরিক

কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের বিশেষ বিমানে স্বদেশে ফিরলেন মিয়ানমারের সেনা ও বিজিবি সদস্যসহ ৪০ জন নাগরিক। এর মধ্যে ৩৪ জন মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জেরে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেনা ও বিজিপি সদস্য। অপর ৬ জন সীমান্ত অতিক্রম করে মাদকপাচার ও হত্যা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগকারি আসামি।বুধবার (৭ মে) বিকাল ২ টা ৫৮ মিনিটের দিকে যাত্রা দিয়েছেন তারা। বুধবার সোয়া ১১ টায় মিয়ানমার সেনা ও বিজিপির ৩৪ জন সদস্যকে বাস যোগে বিজিবি ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে আনা হয়। পরে পৌণে ১২ টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে মিয়ানমারের নাগরিক ৬ আসামিকে প্রিজেন ভ্যান যোগে আনা হয়।কক্সবাজার বিমান বন্দরের পরিচালক গোলাম মর্তুজা হোসান বলেন, ফেরত যাওয়াদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনা, বিজিপি ও মামলায় সাজাভোগকারিসহ ৪০ জন নাগরিক রয়েছেন। তাদের নিতে মিয়ানমারের একটি বিশেষ একটি বিমান দুপুর ২ টার দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দরের অবতরণ করেন।যেহেতু কক্সবাজারে বির্হিবিশ্বের সঙ্গে যাত্রীতে গমণাগমের ব্যবস্থা নেই। তাই মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ বিমান কৃর্তপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ব্যবস্থার আলোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কক্সবাজার আনা হয়। মিয়ানমারের এসব নাগরিকদের ইমিগ্রেশন কার্যদি সম্পাদন করেই তাদের ফেরত পাঠানোর হয়েছে।বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের অধিনায়ক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম এম ইমরুল হাসান জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জের ধরে গত ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত টেকনাফের দমদমিয়া, নাজিরপাড়া ও শাহপরীরদ্বীপ সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে পালিয়ে ৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য আশ্রয় নিয়ে ছিল। এর মধ্যে ২১ জন বিজিপি সদস্য এবং ১৩ জন সেনা সদস্য ছিল। তারা কক্সবাজারে এতোদিন বিজিবির হেফাজতে ছিল। এই ৩৪ জনের সাথে বাংলাদেশের কারাগারে সাজাভোগ করা ৬ জন সংযুক্ত করে ৪০ জনকে ফেরত পাঠানো হল। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম জানান, বিজিবির হেফাজতের মিয়ানমারের ৩৪ জন এবং কক্সবাজার জেলা কারাগারে সাজাভোগ শেষে দেশটির ৬ জন নাগরিক ফেরত পাঠানো হয়েছে। মিয়ানমারের ৪০ নাগরিককে ফেরত পাঠাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ের কর্মকর্তারা কক্সবাজার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের কার্যাদি সম্পাদনের করেছেন। এর আগে ৪ দফায় পালিয়ে আসা আরও ৮৭৬ জনকে স্বদেশে ফেরত নিয়েছিল মিয়ানমার জান্তা সরকার। এর মধ্যে প্রথম দফায় ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন, একই বছরের ২৫ এপ্রিল ২৮৮ জন, ৯ জুন ১৩৪ জন এবং ২৯ সেপ্টেম্বর ১৩৪ জনকে ফেরত পাঠানো হয়। এদিকে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছে ২১৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মিয়ানমারের একটি বিশেষ বিমানে স্বদেশে ফিরেছেন দেশটির সেনা, বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যসহ ৪০ জন নাগরিক।

এদের মধ্যে ৩৪ জন রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের জেরে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সেনা ও বিজিপি সদস্য। বাকি ৬ জন মাদকপাচার ও হত্যা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগকারী।

বুধবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করেন তারা।

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিজিবি ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় ৩৪ জন সেনা ও বিজিপি সদস্যকে বাসযোগে বিমানবন্দরে আনা হয়। পরে পৌনে ১২টার দিকে জেলা কারাগার থেকে সাজাভোগকারী মিয়ানমারের ৬ নাগরিককে প্রিজনভ্যানে করে আনা হয়।

বিমানবন্দরে পৌঁছার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ইমিগ্রেশন কার্যাদি সম্পন্ন করে তাদের হস্তান্তর করা হয়। প্রক্রিয়াটি শেষ করে দুপুর ২টার দিকে মিয়ানমারের বিশেষ বিমান তাদের নিয়ে কক্সবাজার ত্যাগ করে।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের পরিচালক মো. গোলাম মর্তুজা হোসেন জানান, মিয়ানমার সরকারের অনুরোধে বিশেষ ব্যবস্থায় এ প্রত্যাবাসন সম্পন্ন হয়। যেহেতু কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহনের সুযোগ নেই, তাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিমান কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থায় এ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়নের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমএম ইমরুল হাসান জানান, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১১ জানুয়ারির মধ্যে টেকনাফের দমদমিয়া, নাজিরপাড়া ও শাহপরীর দ্বীপ

সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ৩৪ জন মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এর মধ্যে ২১ জন বিজিপি ও ১৩ জন সেনাসদস্য ছিলেন। এতদিন তারা বিজিবির হেফাজতে ছিলেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসাইন সজীব জানান, ফেরত পাঠানো ৪০ জনের মধ্যে ৩৪ জন বিজিবির হেফাজতে এবং ৬ জন কারাভোগ শেষে মুক্তিপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। এদের সবাইকে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এর আগে চার দফায় আরও ৮৭৬ জন মিয়ানমার নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। প্রথম দফায় ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন, দ্বিতীয় দফায় ২৫ এপ্রিল ২৮৮ জন, তৃতীয় দফায় ৯ জুন ১৩৪ জন এবং

সর্বশেষ ২৯ সেপ্টেম্বর ১৩৪ জনকে মিয়ানমার সেনা সরকার গ্রহণ করে। এদের মধ্যে ২১৪ জন ছিল বাংলাদেশি, যারা মিয়ানমারে সাজা ভোগ করে ফিরেছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার, বিমানবন্দর
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন