নেকাব খোলার ঘটনা নিয়ে মাটিরাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষের ক্ষমা প্রার্থনা
গত ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) পরীক্ষা চলাকালে নেকাব খোলার নির্দেশকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার্থী উম্মে আনজুমান আরা বহিষ্কৃত হওয়ার ঘটনায় মাটিরাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামাল হোসেন মজুমদার ক্ষমা চেয়েছেন।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) মাটিরাঙ্গা জোন সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক কামরুল হাসান, পিএসসি। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আলম, থানার অফিসার ইনচার্জ তৌফিকুল ইসলাম, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
অধ্যক্ষ জানান, রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার্থীর সনাক্তকরণের জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সামাজিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি ভুল হয়েছে। তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটানোর অঙ্গীকার করেন এবং পরিষ্কার করেন যে, অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়নি, বরং তিনি পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে মাটিরাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে বাউবি ২০২১-২২ সেশনের ৩য় ও ৪র্থ সেমিস্টার পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হল পর্যবেক্ষক এবং কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক আবুল হোসেন পরীক্ষার্থীদের সনাক্তকরণে নেকাব খোলার নির্দেশ দেন। পরীক্ষার্থী উম্মে আনজুমান আরা নারীর সামনে নেকাব খুলতে চাইলেও হল পর্যবেক্ষকের নির্দেশ উপেক্ষা করায় অধ্যক্ষ তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করেন।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে বিভিন্ন মহল থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ইসলামী দলগুলো বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বিচারের দাবি জানায়।