নেতার কাছে অস্ত্র পৌঁছাতে গিয়ে গ্রেফতার ‘ইউপিডিএফ’র দুই কর্মী’
চট্টগ্রামে চারটি পিস্তল ও গুলিসহ উপজাতি দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার প্রকাশ তালুকদার (২৯) ও জনপ্রিয় চাকমাকে (৩০) পুলিশ ইউপিডিএফের সংস্কারপন্থী অংশ ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের সক্রিয় কর্মী বললেও সংগঠনটির পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
সংগঠনের প্রচার সম্পাদক মিটেন চাকমা বলেন, তাদের সংগঠনের কোনো কর্মী অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়নি। জনপ্রিয় ও প্রকাশ নামে তাদের কোনো কর্মীও নেই।
পুলিশ বলছে, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুছড়া এলাকা থেকে সোমবার গভীর রাতে চারটি পিস্তল, চারটি ম্যাগজিন ও ২০টি গুলিসহ প্রকাশ ও জনপ্রিয়কে গ্রেফতার করা হয়।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রাণ তালুকদার বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে অস্ত্রগুলো খাগড়াছড়ির ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের এক নেতার জন্য আনা হয়েছে। জনপ্রিয় চাকমা সেগুলো নেয়ার জন্য খাগড়াছড়ি থেকে হাটহাজারী আসে। রুনেল নামের একজন তাকে অস্ত্রগুলো দিয়েছে।
“প্রকাশ তাকে অক্সিজেন জেলা পরিষদ আবাসিক এলাকায় তার বাসায় রাতে থাকার জন্য শহরে নিয়ে এসেছে। সকালে তাদের খাগড়াছড়ি যাওয়ার কথা ছিল।”
রাত দেড়টার দিকে বালুছড়া এলাকায় পুলিশের চেক পোস্টে তাদের তল্লাশি করে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান সহকারী কমিশনার পরিত্রাণ।
নগড়র পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) আশিকুর রহমান বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, অস্ত্রগুলো খাগড়াছড়িতে তুরু নামের তাদের সংগঠনের এক শীর্ষ নেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। রুনেল নামের তাদের একজন সাংগঠনিক কর্মী বান্দরবান থেকে অস্ত্রগুলো চট্টগ্রামে নিয়ে আসে।”
শ্যামল কান্তি চাকমা ওরফে জলেয়া চাকমা তুরু ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
২০১৭ সালে নিজেদের মধ্যে বিরোধের জেরে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ ভেঙ্গে তপনজ্যোতি চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক গঠিত হয়। তার কয়েক মাসের মাথায় প্রতিপক্ষের হাতে রাঙামাটির নানিয়ারচরে খুন হন তপনজ্যোতি চাকমা। এরপর থেকে সংগঠনের দায়িত্বে আছেন তুরু।
শ্যামল কান্তি চাকমা ওরফে তুরুর সঙ্গে একাধিকবার যোগোযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সূত্র: বিডি নিউজ