নেপালকে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারত
টপ ও লোয়ার মিডল অর্ডারের কল্যাণে দুইশ ছাড়িয়ে আরও সামনে গেল নেপালের সংগ্রহ। এরপর বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমায় ভারতের লক্ষ্য ছোট হয়ে এলো। সেটা তাড়ায় রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল কোনো সুযোগ দিলেন না প্রতিপক্ষকে। ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হলো ভারতীয়দের।
পাকিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয়েছে ভারতের। তবে নেপালের বিপক্ষে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচটি অনায়াসে জিতে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তিরা। তাতে প্রথমবার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে খেলতে নামা নেপাল গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছে। পাকিস্তান এই গ্রুপ থেকে এরই মধ্যে সবার আগে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে।
পাল্লেকেলেতে শুরুতে ব্যাট করে নেপাল সব কটি উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান সংগ্রহ করেছিল। তখনও নেপাল ইনিংসে হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। তাতে এর প্রভাব পড়েনি যদিও। কিন্তু ভারতের ইনিংসে বৃষ্টি হানা দিলে ম্যাচের পরিধি কমে আসে ২৩ ওভারে। বৃষ্টি আইনে তখন ভারতের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩ ওভারে ১৪৫। তার পরেও এই লক্ষ্য ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের সামনে কোনও বাধা হতে পারেনি। শুরুতে দুই ওপেনার রোহিত ও শুবমান গিলের অস্বস্তি দেখা গেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন তারা। টি-টোয়েন্টি স্টাইলে খেলতে থাকেন দু’জন। বিশেষ করে রোহিত শর্মা ছিলেন বিধ্বংসী ভূমিকায়। গিল একটু ধীরে সুস্থেই ব্যাট করেছেন। রোহিত ৩৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করেছেন। গিল ফিফটি স্পর্শ করেছেন ৪৭ বলে। দুই ব্যাটারই নেপালের বোলারদের ছাতু বানিয়েছেন। বিস্ফোরক ওপেনিং জুটিতে ১৭ বল হাতে রেখেই ভারত জয় নিশ্চিত করেছে। রোহিত শর্মারা লক্ষ্য টপকেছে ২০.১ ওভারে। রোহিত ৫৯ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছয়। গিল ৬২ বলে অপরাজিত ছিলেন ৬৭ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ১টি ছয়।
শুরুতে টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উইকেটটিতেই এই ম্যাচ হয়েছে। বৃষ্টিতে নেপালের ইনিংসের শেষ দিকে ম্যাচ ঘণ্টাখানেকের জন্য বন্ধ থাকলেও ওভার কাটা যায়নি অবশ্য। তবে ভারতের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে ব্যাটিংটা একেবারে খারাপ ছিল না তাদের। তার জন্য ভারতের বাজে ফিল্ডিংও দায়ী। প্রথম ৫ ওভারে ক্যাচ ছেড়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার, বিরাট কোহলি ও ইশান কিশান। তাতে দুই ওপেনার কুশল ভুর্টেল ও আসিফ শেখের ব্যাটিংটাই প্রভাব রেখেছে। উদ্বোধনী জুটিতে যোগ হয়েছে ৬৫ রান! এই দুই ওপেনারের বিদায়ের পর নিচের দিকে প্রতিরোধ গড়েন গুলশান ঝা, দীপেন্দ্র সিং এইরি ও সোমপাল কামি। তাদের অবদানেই স্কোর দুইশ ছাড়াতে অবদান রেখেছে। সব কটি উইকেট হারানো নেপাল শেষ পর্যন্ত ৪৮.২ ওভারে থামে ২৩০ রানে।
ওপেনার ভুর্টেল ৩৮ রানে ফিরেছেন। ফিফটি করে সর্বোচ্চ ৫৮ রানে ফিরেছেন আসিফ। তার ৯৭ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার। সোমপাল ৫৬ বলে খেলেছেন ৪৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। গুলশান ও দীপেন্দ্র সিং যথাক্রমে ২৩ ও ২৯ রান করেছেন।
ভারতের হয়ে ৬১ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। ৪০ রানে তিনটি নেন স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজাও।