নৌকার বিপক্ষে আ’লীগ নেতাদের অবস্থান!

fec-image

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কুতুবদিয়া উপজেলার ১নং উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ সিরাজদৌল্লাহর নিকট অনেকটা কোণঠাসা নৌকার প্রার্থী মো. ইয়াহিয়া খান। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের সরে দাঁড়াতে দলের সভানেত্রী নির্দেশ দিলেও মানছে না। বরং নৌকাকে ডুবানোর কৌশল এঁটেছে, এমনটি অভিযোগ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. ইয়াহিয়া খানের।

তিনি জানান, উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউল মোর্শেদ চৌধুরী এখনো পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে নেই। কোন ধরণের যোগাযোগও করছেন না। দলীয় প্রার্থীর পক্ষে তার ভূমিকা রহস্যজনক।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল হাশেম, উত্তর ধূরুং ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান, ৬নং ওয়ার্ড সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।

বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সিরাজদৌল্লাহ ও তার সঙ্গীরা গত ১৬ এপ্রিল ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। দলীয় ব্যানার পোড়ায়। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে। বেপরোয়া হামলায় নৌকার প্রার্থীর ভাই এ.কে খানসহ ৩০ জন আহত হন। এ ঘটনায় মামলাও রয়েছে।

দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশ মতে, নৌকার বিরুদ্ধে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নেয়ার নিয়ম রয়েছে। অথচ এ পর্যন্তও কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেননি বলে জানা গেছে।

এদিকে, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুচ ছাফা বিকম স্বাক্ষরিত ২০১৬ সালের একটি পত্রে উল্লেখ আছে, নৌকার বিদ্রোহী সিরাজদ্দৌল্লাহ ছাত্র জীবনে শিবিরের ক্যাডার ছিলেন। তার বড় ভাই শামসুল আলম বাহাদুর জেলা জামায়াতের নেতা। (পত্র ইস্যুকালে কক্সবাজার শহর শাখার আমীর)। ছোট ভাই ছৈয়দ মোহাম্মদ বশির উপজেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও উত্তর ধূরুং বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আরেক ভাই ছৈয়দ নুর জামায়াতের রাজনীতিতে জড়িত।

কুতুবদিয়ার সাধারণ মানুষের ভাষ্য হলো, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এটিএম নূরুল বশর চৌধুরী মামাত-ফুফাত ভাই। জামায়াতের সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আজাদ তাদের জামাই। তিনটি রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র ভিন্ন মতের হলেও পারিবারিকভাবে মিলেমিশে যে কোন নির্বাচনে কাজ করে থাকেন এসব নেতা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত দেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সেই আলোকে আমরাও নির্দেশ জারি করি। ইতোমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী সরে গিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ শুরু করেছেন। যারা এখনো সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করছেন তাদের ব্যাপারে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আ’লীগ, নেতাদের, নৌকার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন