parbattanews

নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য কাপ্তাইয়ে ছুটছে প্রকৃতিপ্রেমীরা

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

শীত মৌসুমে পাহাড়, নদী, লেক, প্রাকৃতিক সৌন্দোর্য, পাখ-পাখালী একটু নিরিবিলি  নয়নাভিরাম সৌন্দর্য প্রকৃতি দেখার জন্য সকল ধরনের মানুষ শহর ছেড়ে কিছু দুরে ছুটে যায় কাপ্তাইয়ের দিকে। শীত মৌসুমে কাপ্তাইয়ের পর্যটন স্পটগুলো নানা রঙে সাজিয়ে রাখা হয়। প্রকৃতির নির্মল বাতাসের সাথে প্রকৃতি প্রেমীদের মনও আনন্দে দোল খায়। মনমুগ্ধকর পাহাড়ের দুপাশের বুক চিড়ে বয়ে চলেছে কর্ণফুলী নদী, দেশের সর্ব বৃহৎ কাপ্তাই লেক। লেকের মধ্যে ছোট ছোট দ্বীপ এবং এ দ্বীপের মধ্যে বসবাস করে উপজাতীয় সম্প্রদায়ের লোকজন।

রুপের রাণী কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রেগুলো প্রতিদিন দেখাযায় পর্যটকদের ভিড়। পর্যটনকেন্দ্রের কর্তব্যরত লোকজন জানায়, প্রতি শুক্রবার বন্ধের দিন বেশি পর্যটকদের ভিড় হয়ে থাকে। চটগ্রাম থেকে ৪৫কিমি দুরে যে কোন বাহনযোগে ১ঘন্টা থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে কাপ্তাই আসা যায়। এক নজরে দেখা যায় রামপাহাড়, শীতার পাহাড়, দেশের নামকরা চিংমং বড়বৌদ্ধ মন্দির, কর্ণফুলী পেপার মিলস্, জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্ক, দেশের বৃহত্তর কাপ্তাই হ্রদসহ বিভিন্ন সৌন্দর্য দেখতে দেখতে মনজুড়ে যাবে সকলের। এছাড়া কাপ্তাই চিংমং গেলে দেখা যায় উপজাতীয় বিভিন্ন লোকদের জীববৈচিত্র তাদের প্রাণের মন্দির। এবং বিজিবি কর্তৃক নিরাপত্তা বেষ্টিত বিনোদনকেন্দ্র ঝুমরেস্তরা, নৌবাহিনী কর্তৃক লেক প্যারাডাইস, বনশ্রী পর্যটনকেন্দ্র, কাপ্তাই বন বিভাগ কর্তৃক ন্যাশনাল পার্ক, পাহাড়ীকা, বিএফআইডিসি কর্তৃক লেকভিউ, এবং লেক প্যারডাইসসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র।

কাপ্তাই পর্যটনকেন্দ্রে ঢাকা থেকে  বেড়াতে আসা একদল পর্যটক  বলেন, কাপ্তাইয়ে এতো সৌন্দোর্য লুকিয়ে আছে, যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।

Exit mobile version