parbattanews

পথশিশু খাইরুল আমিন এখন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে নোঙর

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

পথশিশু খাইরুল আমিন (১২) মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। সে গত এক মাস ধরে ইয়াবা সেবন করছে। শুরুর ভাঙ্গারী কুড়িয়ে যে টাকা পেত তা দিয়ে ইয়াবা সেবন করত। পরে আসক্তি বেড়ে যাওয়ায় ছোট-খাট চুরিও করছে মাদকের টাকা যোগাতে।

এদিকে তার দেখাদেখী অন্য পথশিশুরাও মাদকাসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিল পথশিশুদের কল্যাণ মূলক সংগঠন ‘নতুন জীবন’এর সদস্যরা। খাইরুল আমিন টেকনাফের আব্দুল মালেকের ছেলে।

অবশেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শহরের ভোলা বাবুর পেট্টোল পাম্প সংলগ্ন ব্রিজের নিচে ইয়াবা সেবনরত অবস্থায় খাইরুল আমিন’কে হাতে নাতে ধরা হয়। ওই রাতে তাকে কক্সবাজার সদর থানা হেফাজতে রাখা হয় পরদিন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য।

পরদিন মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘নোঙর’ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে ওই প্রতিষ্ঠানের নিবার্হী পরিচালক দিদারুল আলম রাসেদ  সহযোগিতার হাত বাড়ায়। তিনি মাদকাসক্ত খাইরুল আমিনকে ওই প্রতিষ্ঠানে রেখে সুস্থ্য করার ব্যবস্থা করে দেন।

মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘নোঙর এর এ সহযোগিতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল ও পথশিশুদের কল্যাণ মূলক সংগঠন ‘নতুন জীবন’। তারা বলছেন, ছিন্নমূল পথশিশুরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে তাদের সুস্থ্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসেনা। টাকা খরচ করে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে রেখে সুস্থ্য করার জন্য কেউ সহযোগিতা করেনা। বরং ধিক্কার দিতে থাকে। আর একসময় মাদকের কারণেই ওই শিশুটি শেষ হয়ে যায়। সাথে আরো অনেক পথশিশুদের মাদকাসক্ত করে যায়। আর ব্যাপক ক্ষতি করে এ সমাজের।

এমনই পরিস্থিতির স্বীকার হয় পথশিশু খাইরুল আমিন। আর এ অবস্থায় ‘নোঙর’ বাড়িয়েছে সহযোগিতার হাত। এভাবে সবাই যদি এগিয়ে আসত তাহলে হয়ত আর কোন পথশিশু মাদকাসক্ত হয়ে ধ্বংস হবেনা।

এ ব্যাপারে পথশিশুদের কল্যাণ মূলক সংগঠন ‘নতুন জীবন’ এর সাধারণ সম্পদাক সুমন শর্মা জানান, শিশুরা কখনও স্বেচ্চায় মাদকাসক্ত হয়না। এ সমাজের কিছু মাদকাসক্ত ও খারাপ লোকের কারণে পথশিশুরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। ওসব খারাপ লোকেরা এই ছোট্ট পথশিশুদের দিয়ে মাদক আনা-নেওয়া করে। আর একসময় তাদেরকেও মাদকাসক্ত করে ফেলে। এমনই একজন হলো খাইরুল আমিন। খাইরুর আমিনকে নতুন জীবন দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করায় মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘নোঙর’কে ধন্যবাদ।

এ ব্যাপারে মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘নোঙর’এর নিবার্হী পরিচালক দিদারুল আলম রাসেদ জানান, এটি এমন বড় কিছুইনা। ওই ধরনের সন্তান আমাদেরও রয়েছে। হয়ত পরিস্থিতির কারণে সে আজ পথশিশু এবং মাদকাসক্ত। তাকে সহযোগিতা করতে পেরে ‘নোঙর’ সন্তুষ্ট।

Exit mobile version