parbattanews

পরিবর্তনের আভাস মিলছে মিয়ানমারের চীন নীতিতে

পরিবর্তনের আভাস মিলছে মিয়ানমারের চীন নীতিতে। চলতি মাসের সাধারণ নির্বাচনের সময় এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বেইজিংয়ের প্রভাব কমাতে এ পরিবর্তন আনতে পারেন দেশটির নেত্রী ও দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত ক্ষমতাসীন সরকারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি। ইকোনমিক টাইমস’র  এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, চীনের বিআরআই প্রকল্পে কিছু সংস্কার আসতে পারে এবং নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভের কারণে চীনের সামগ্রিক প্রভাব হ্রাস করার চেষ্টা করা হতে পারে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমারে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলেছে চীন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাকিস্তানের পর এই দেশটিকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বেইজিং।

লগ্নি বিস্তারে অন্যেরা যেখানে যেতে রাজি নয়, সেখানেই পা রাখতে প্রবল আগ্রহ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটির।

চীন-মিয়ানমার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মিয়ানমার সফর আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। এমনিতে মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক মধুর নয়।

চীনা লগ্নিতে যে ঋণের ফাঁদে দেশ বিকিয়ে যেতে পারে সেই আশঙ্কা রয়েছে মিয়ানমারেরও। তাদের বিদেশি ঋণ যত, তার ৪০ শতাংশই চীনের কাছে। সেই আশঙ্কা থেকেই মিয়ানমারে চীনবিরোধী মনোভাব বাড়ছে।

Exit mobile version