parbattanews

পরিমলের অপকর্মের বর্ণনা দিলেন ভিকারুননেসার ধর্ষিতা ছাত্রী

1234365_527235490697753_2141167270_n

পার্বত্য নিউজ ডেস্ক:
দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণের পরদিন শিক্ষক পরিমল একশ’ টাকা দিয়ে পিল খেয়ে নিতে বলেছিল বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা শাখার ধর্ষিতা সেই দশম শ্রেণির ছাত্রী।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চার নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফুর রহমান আদালতে ক্যামেরা ট্রায়ালে (রুদ্ধদ্বার কক্ষে) সাক্ষি হিসেবে জবানবন্দি প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেছেন।

জবানবন্দিতে ধর্ষিতা ছাত্রী আরও বলেছেন, ‘পরিমল স্যারের কাছে সে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের কোচিং করত। ২০১১ সালের ২৮ মে আমার কোচিংয়ে যেতে তার দেরি হয়। ওইদিন স্যার তিনটি অধ্যায় পড়ায়। সে শেষ অধ্যায় পায়। তাই কোচিংয়ের পড়া শেষে সবাইকে ছেড়ে দিয়ে স্যার বলেন, ওই দু’টি অধ্যায় তাকে আলাদা করে পড়িয়ে ছাড়বে। এরপর সবাই চলে গেলে পড়ানোর এক পর্যায়ে তিনি হঠাৎ ওড়না কেড়ে নিয়ে তার হাত বেঁধে ফেলেন। ধস্তাধস্তিতে ভিকটিম বেঞ্চ থেকে পড়ে যায়।’ এ সময় পরিমল তাকে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ছবি তোলে এবং ভয় দেখিয়ে প্রথম দফায় ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের পর স্যার বলেন, ‘ঠিক মতো পড়াশোনা কর। এ ঘটনা কাউকে বলো না। বললে ইন্টারনেটে তোমার ছবি ছেড়ে দেব। আমার কিছুই হবে না। বরং তোমার বদনাম ও ক্ষতি হবে।’
এরপর ছাত্রীটি বলেন, ‘ভয়ে আব্বু আম্মুকে কিছু বলিনি। কোচিংয়ে পড়া চালিয়ে গেছি।’

ভিকটিম বলেন, ‘পরের মাসে ১৭ জুন তারিখে স্যার কোচিংয়ে একা পেয়ে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে ফের ধর্ষণ করে। ১৯ জুন স্কুলে গেলে স্যার দপ্তরি দিয়ে আমাকে টিচার্স রুমে ডেকে নিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে বলে পিল খেয়ে নিস।’

ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ফেরকান মিয়া জানান, বেলা সোয়া ১২টা থেকে সোয়া ২টা পর্যন্ত এ সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তিনিসহ শুধুমাত্র আসামি পরিমল, আসামির আইনজীবী ও ভিকটিমের আইনজীবীদের উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাক্ষ্যগ্রহণের সময় ওই আদালতে পেশকারসহ কর্মচারী ও আইনজীবীদের বিচারক বের করে দিয়ে আদালতের দরজা বন্ধ করে দেন। আদালত ভিকটিমের জবানবন্দি গ্রহণের পর পরিমলের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন।

গত বছরের ৭ মার্চ আসামি পরিমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। ওইদিন অব্যাহতি দেয়া হয় মামলার অপর দুই আসামি ভিকারুননিসা নূন স্কুলের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম ও বসুন্ধরা শাখা প্রধান লুৎফর রহমানকে।

২০১১ সালের ৬ জুলাই পরিমল জয়ধরকে কেরানীগঞ্জের পরিমলের স্ত্রীর বড় বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই ছাত্রীকে ২০১১ সালের ২৮ মে ধর্ষণ করে শিক্ষক পরিমল। ওই সময় ওই ছাত্রীর নগ্ন ছবি মোবাইলে ভিডিও করা হয়। পরে ওই ভিডিও বাজারে ছাড়ার কথা বলে ওই বছরের ১৭ জুনও ধর্ষণ করে।

Exit mobile version