পর্যটকদের পদচারণার অপেক্ষায় রাঙামাটির সিম্বল ঝুলন্ত সেতু
দীর্ঘ এক মাস ২৬ দিন পর রাঙামাটির সিম্বল খ্যাত ঝুলন্ত সেতু থেকে পানি সরে যাওয়ায় পর্যটকদের পদচারণার অপেক্ষায় রয়েছে সেতুটি। শুক্রবার রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সেতু থেকে আবর্জনা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করেছে।
তবে চলতি মাসের শেষ দিকে সেতুসহ পর্যটন এলাকার সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যদিও রাঙামাটিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত থাকার কারণে এখনও পর্যটকদের উপস্থিতি কম, তবে শুক্রবার কিছু পর্যটক ঝুলন্ত সেতুতে সময় কাটাতে দেখা গেছে।
চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক দম্পতি আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী আছমা আনোয়ার জানিয়েছেন, তারা সেতুটি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। আছমা আনোয়ার জানান, সেতুটি তাদের স্বপ্নের মতো লেগেছে এবং রাঙামাটিতে আরও আগে আসার ইচ্ছা থাকলেও নিরুৎসাহিত করার কারণে এতদিন আসা হয়নি।
রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের বোট ঘাট ম্যানেজার ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আজ থেকে সেতুটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে এবং পর্যটকরা সেতুটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে কিছুদিন পর সেতুসহ পুরো এলাকাজুড়ে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য, ৭০-এর দশকের শেষের দিকে রাঙামাটিকে পর্যটন জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৮৪ সালে পর্যটন করপোরেশন কাপ্তাই হ্রদের পারে দু’পাহাড়ের মধ্যে ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করে। প্রতি বছর দেশ-বিদেশ থেকে লাখ লাখ পর্যটক এই সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করতে রাঙামাটি ভ্রমণ করেন। গত ২৩ আগস্ট কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় সেতুটি পানিতে তলিয়ে যায়।