parbattanews

পর্যটকে মূখর নাইক্ষ্যংছড়ির পর্যটন স্পট

পর্যটকে মূখর নাইক্ষ্যংছড়ির পর্যটন স্পট গুলো। উপজেলা সদরের উপকণ্ঠে অবস্থিত উপবন পর্যটন লেকটিতে সবচেয়ে বেশী পর্যটকের সমাগম হয়েছে এ বছর। দীর্ঘ ২ বছর করোনা মহামারির বন্ধের পর এবারই কক্সবাজার দেখতে আসা পর্যটকরা ছুটে এসছে পাহাড়ি কন্যা নাইক্ষ্যংছড়ির রূপ দেখতে। যা আগেই তুলনায় সবচেয়ে বেশি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী হোসেন আহমদ জানান, ঈদের দিন থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি নতুন রূপে জেগে উঠেছে। ঈদের পর অন্তত ২০ হাজার পর্যটক নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েকটি পযর্টন স্পটে ভিড় করছে।

উপজেলা যুবলীগ নেতা আনসারুল্লাহ বলেন, কী বলেন ভাই,অন্তত ৩০ হাজার পর্যটক নাইক্ষ্যংছড়ি ঝুলন্ত সেতুতে চড়েছে ঈদের ৩ দিনে। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক সদরের এ উপবন পযর্টন কেন্দ্রটিতে এসেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয়।

ঢাকা থেকে আসা পর্যটক,আনিস মাহমুদ, ফারহানা জামান ও রুসাইবা জামান বলেন, পাহাড় এতো সুন্দর কল্পনাও করা যায় না। পাহাড়ের মনোরমদৃশ্য,লেকের টিলার উপর স্থাপিত ওয়াচ টাওয়ার পুরো পাহাড়ের প্রকৃতির লীলাখেলা অবলোকন করা যায়। অপরূপে ভরা পুরো পাহাড়।

তারা আরো বলেন,পাশাপাশি ঝুলন্ত সেতু আরো মনোমুগ্ধকর। নাচা-নাচির মঞ্চ দোলনা যেন এ ব্রীজ। আর লেকটিতে স্বপ্নীল ডিঙ্গি নৌকার ঢেউ’র খেলার দৃশ্য সবার আকর্ষণ কেড়ে নেয় অন্যভাবে। সব মিলে কন্যা যৌবনে পা দিয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আবদুচ্ছাত্তার বলেন, নাইক্ষ্যংছড়িতে ৫টি পর্যটন স্পট রয়েছে। পর্যটন লেক, দূরবীন, নিলাদ্রী। অপর ২টি ঘুমধুমে। এ বছর এসব স্পটি হাজার হাজার লোকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহাকারী কমিশনার (ভূমি) জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি মাত্র পর্যটন স্পট আছে, তাহলো উপবন পর্যটন স্পটটি। ৩ দিনে অনেক লোক এখানে এসেছে। এদের বিষয়ে প্রশাসন সজাগ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নানাভাবে তিনি জেনেছেন এ যাবতকালে এ বছরই বেশী পর্যটক নাইক্ষ্যংছড়ি এসেছে।

Exit mobile version