পর্যটক শূন্য বান্দরবান : হতাশ হোটেল ব্যবসায়ীরা

fec-image

পর্যটন নগরী খ্যাত বান্দরবান এখন পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে কেএনএফের হামলার ঘটনার পর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো বান্দরবান জেলাজুড়ে। আর এর প্রভাব পড়েছে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতেও। হোটেল থেকে বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকেরা। শুক্রবার (৩১ মে) সাপ্তাহিক ছুটির দিন বান্দরবানের শৈল প্রপাত, নীলাচল, নীলগিরি, প্রান্তিক লেক, মেঘলাসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে পর্যটকের তেমন দেখা মেলেনি।

গত ২ এপ্রিল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) কর্তৃক রুমা ব্যাংক ডাকাতি, পুলিশের অস্ত্র লুট, থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে সন্ত্রাসীদের ধরতে পাহাড়ে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যার ফলে পাহাড়ে পর্যটক না আসার কারণে বিপাকে পড়েছে এখানকার হোটেল মোটেল, পর্যটকবাহী পরিবহণ সংশ্লিষ্ট এবং পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

তারা বলছে- করোনার পর থেকে নানা কারণে বান্দরবানে পর্যটন ব্যবসার ধস নেমেছে। করোনার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রায় দেড় বছর পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ভয়াবহ বন্যা এখন ব্যাংক ডাকাতি সব মিলিয়ে পর্যটন শিল্প এখন শূন্যের কোটায়।

বান্দরবানের নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ী মঙ্গল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, গত দুই তিন বছর পর্যটন মৌসুমে পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক আসছে না। পর্যটকরা আমাদের মেহমান। তাদের কাছে বিভিন্ন কিছু বিক্রয় করে আমরা আমাদের সংসার চালাতে হয়। বেশি কিছুদিন পর্যটক নেই, কী করবো বুঝে উঠতে পারছি না।

শৈলপ্রাভাবের ফল মূল দিয়ে বিভিন্ন রকম আইটেম বিক্রি করেন রতন বম। তিনি বলেন, পর্যটক না আসার কারণে আমাদের জীবন যাত্রা থমকে গেছে, আজকে শুক্রবার প্রচুর পর্যটক থাকার কথা কিন্তু নেই।

বান্দরবান হিলটন হোটেলের ম্যানেজার আক্কাস আলী বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিতে প্রায় বুকিং থাকতো কিন্তু গতকয়েক বছরের তুলনায় পর্যটক অনেক কমে গিয়েছে। এখন রুমের বুকিং নেই, পর্যটক নেই, খরচ পোষানো কষ্ট হয়ে পড়েছে। আমরা চাই দ্রুত সময়ে পর্যটকদের নিয়ে আবারও মুখরিত হোক পর্যটন নগরী বান্দরবান।

হোটেল হিল ভিউ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. পারভেজ বলেন, প্রায় সময় আমরা অথিতিদের রুম দিতে পারতাম না আর এখন রুম ফাঁকা, বুকিং করে আবার সেগুলো বাতিল করছে পর্যটকরা, সব মিলিয়ে হোটেল প্রায় ফাঁকা।

পর্যটকবাহী গাড়িচালক মো. কামাল উদ্দীন বলেন, আমাদের গাড়ি ভাড়া হচ্ছে না, আমরা পরিবার নিয়ে চরম কষ্টে আছি।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম, বান্দরবান
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন