যত্রতত্র আবর্জনার স্তুপ

পর্যটন এলাকা কাপ্তাই, বিলাইছড়ি ও রাজস্থলী তার সৌন্দর্য্য হারাচ্ছে

fec-image

পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলাধীন কাপ্তাই, বিলাইছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মনুষ্য সৃষ্ট বর্জ্যের কারণে এলাকার সৌন্দর্য্য বিনষ্ট হচ্ছে।

বিশেষ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা, গবাদি পশুর আবর্জনা, পর্যটন এলাকায় যত্রতত্র ময়লা ফেলাসহ মনষ্য সৃষ্ট এসব বর্জ্য যথা সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় উপজেলার অনেক স্থানে ময়লার ভাগড়ে পরিণত হয়েছে। এসব ময়লা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে চলাচলরত মানুষজনকে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ওই তিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, কাপ্তাই উপজেলাধীন জেটিঘাট বাজার, নতুন বাজার, নতুন বাজারস্থ ঢাকাইয়া কলোনী, বরফ কল এলাকা, নতুন বাজার পাবলিক টয়লেট এলাকা, বিএফআইডিসি সংলগ্ন এলাকা, চিৎমরম কিয়াংঘাট, ব্যাঙছড়ি, বনফুল রেস্ট হাউজের সামনে ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব হয়ে রয়েছে।

একই ভাবে বিলাইছড়ি উপজেলার বিলাইছড়ি বাজার, বোটঘাট, উপজেলা পরিষদের সামনে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় ময়লা- আবর্জনায় একাকার হয়ে আছে। রাজস্থলী উপজেলার রাজস্থলী বাজার, উপজেলা পরিষদ ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্তুপাকারে বর্জ্যে সয়লাব হয়ে আছে। উল্লেখিত এলাকা গুলোতে জনসাারণের চলাচল বেশি হওয়ায় ওইসব স্থানে বর্জ্যও বেশি দেখা যাচ্ছে। উল্লেখিত উপজেলা গুলোর বিভিন্ন স্থানের ময়লা-আবর্জনা যথা সময়ে পরিস্কার না করায় এলাকায় দূর্গন্ধে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এসব বর্জ্যের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অনেককে নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, নিয়মিত বর্জ্য গুলি পরিস্কার না করায় ঝড়-বৃষ্টিসহ নানা ভাবে ময়লা গুলি হ্রদ বা নদীতে পড়ছে। এতে পর্যটন এলাকা হিসেবে খ্যাত ওই তিন উপজেলার প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য ও কাপ্তাই হ্রদ এবং কর্ণফুলী নদীর পানি নষ্ট হচ্ছে। নদী ও হ্রদে মাছের বংশ বিস্তারে বাধাগ্রস্থ এবং বিভিন্ন রোগ-বালাইর সৃষ্টি হচ্ছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন কমছে। ফলে এলাকায় ব্যবসা-বানিজ্যে ধস নামা সহ জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ বলেন, কাপ্তাই ইউনিয়ন এলাকার বিভিন্ন স্থানের ময়লা-আবর্জনা গুলি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার জন্য একটি বর্জ্য পরিবহনের গাড়ী ও কিছু ড্রাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মানুষ এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে এলাকাকে নোংরা করছে। এলাকার স্বার্থে নিয়ম ভঙ্গকারীদের নিয়ম মানতে প্রয়োজনে বাধ্য করা হবে বলে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এছাড়া কাপ্তাই বন রেন্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকায় আবর্জনা ফেলার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সমন্বয় সভায় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: কাপ্তাই, পর্যটন, বিলাইছড়ি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন