পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র আইএইএ-এর তত্ত্বাবধানে নেয়া উচিত : ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী


ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, পাকিস্তানের হাতে পারমাণবিক অস্ত্র নিরাপদ নয়। তাই তাদের পারমাণবিক অস্ত্রের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নেওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে একটি সেনা ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় তিনি এ কথা বলেছেন।
গত সপ্তাহে ভারত পাকিস্তানের কথিত ‘সন্ত্রাসী শিবির’-এ হামলা চালানোর পর দুই দেশের মধ্যে মারাত্মক লড়াই শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত ১০ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়।
রাজনাথ সিং বলেছেন, “বিশ্ব জানে যে আমাদের সেনাবাহিনীর লক্ষ্য সঠিক এবং যখন তারা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তখন তারা শত্রুদের উপর গণনার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়।
আজ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অঙ্গীকার কতটা দৃঢ়… এটা এই সত্য থেকে জানা যায় যে, আমরা তাদের পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের পরোয়াও করিনি। পুরো বিশ্ব দেখেছে যে, পাকিস্তান কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ভারতকে হুমকি দিয়েছে।
আজ, শ্রীনগরের মাটি থেকে, আমি এই প্রশ্নটি তুলতে চাই যে এতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন ও দুর্বৃত্ত জাতির হাতে পারমাণবিক অস্ত্র নিরাপদ কি না।”
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র আইএইএ-এর তত্ত্বাবধানে নেওয়া উচিত।”
আইএইএ হচ্ছে ভিয়েনাভিত্তিক জাতিসংঘের একটি নজরদারি সংস্থা যেটি পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করে। সংস্থাটি ২০০৮ সালের একটি চুক্তির অধীনে ভারতের বেশ কয়েকটি বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনা পর্যবেক্ষণ করে।
১৯৯৮ সালে ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হয়ে ওঠে। তাদের দশকের পর দশক ধরে চলা শত্রুতা এই অঞ্চলকে সবচেয়ে বিপজ্জনক পারমাণবিক সংঘর্ষের একটি করে তুলেছে।