পাকিস্তানে চেনাব নদীর জম্মু অংশের পানিপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত


বাগলিহার বাঁধের মাধ্যমে পাকিস্তানে চেনাব নদীর পানিপ্রবাহ কমিয়ে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের পর এই পদক্ষেপ নিল নয়াদিল্লি। কিশানগঙ্গা বাঁধের মাধ্যমেও ঝিলম নদীর পানিপ্রবাহও একইভাবে নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করছে ভারত। একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আজ রোববার ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই এ তথ্য জানিয়েছে।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি বলেছে, চেনাব নদীর জম্মু অংশের (চন্দ্রভাগা) ওপর নির্মিত বাগলিহার জলবিদ্যুৎ বাঁধ এবং উত্তর কাশ্মীরে ঝিলম নদীর ওপর নির্মিত কিশানগঙ্গা বাঁধ পানি ছাড়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে ভারতকে সুযোগ করে দিয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই পর্যটক। এ ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
১৯৬০ সালে পানির ন্যায্য বণ্টন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু পানিচুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী সিন্ধু অববাহিকার পূর্বাঞ্চলীয় তিনটি নদী ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রুর পানি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয় ভারতকে। আর পাকিস্তানকে পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি নদ-নদী সিন্ধু, ঝিলম ও চেনাবের অধিকাংশ পানি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়।
বাগলিহার বাঁধ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান। কিশানগঙ্গা বাঁধ নিয়েও আইনি ও কূটনৈতিক জটিলতা রয়েছে।
২৫ এপ্রিল সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ভারতের পানিসম্পদমন্ত্রী চন্দ্রকান্ত রঘুনাথ পাতিল বলেন, ‘সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেন পাকিস্তানে না পৌঁছাতে পারে, তা আমরা নিশ্চিত করব।’
সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত জানাজানির পর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিল, এই চুক্তি লঙঘন করে পানিপ্রবাহ সরিয়ে দেওয়া বা আটকে দেওয়াকে যুদ্ধের শামিল বলে বিবেচনা করা হবে।
সূত্র : প্রথম আলো