parbattanews

পাথর উত্তোলন বন্ধে বান্দরবান আদালতে স্বপ্রণোদিত মামলা

বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন ঝিরি ঝর্ণা থেকে পাথর উত্তোলন ও পাচার বন্ধে স্বপ্রনোদিত মামলা করেছেন আদালত।

বান্দরবান জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে বুধবার এ মামলা হয়েছে। একটি শীর্ষ জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সূত্র ধরে আদালত মামলাটি করেন।

এদিকে মামলার পর রাতেই পরিবেশ অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে রোয়াংছড়িতে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় পাথর ভাঙ্গার মেশিন ধ্বংস করা হয়।

জানা গেছে, আদালতে মামলায় রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ১২ মে এর মধ্যে পাথর উত্তোলন ও পাচার নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম ইমরান পাথর উত্তোলন ও পাচার বন্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৯০(১) ধারায় মামলা করেছেন।

মামলায় বলা হয়েছে, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত “পাথর ভাঙ্গার শব্দ কানে পৌঁছায়নি প্রশাসনের” শীর্ষক সংবাদটি আদালতের নজরে এসেছে।

সংবাদে বর্ণিত ঘটনাটি ফৌজদারি কার্যবিধিতে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আদালতের আমলযোগ্য ঘটনা। এজন্য বিষয়টি বিস্তারিত তদন্ত করে ১২ মে এর মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য রোয়াংছড়ি থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া গেল।

চিফ জুডিশিয়াল আদালতের নাজির শহীদুল্লাহ কায়সার বলেছেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে পাচারকারী ও পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হতে পারে।

এদিকে বুধবার বিকেলে রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে ২০ হাজার ফুটের অধিক পাথর জব্দ করা হয়েছে। একটি পাথর ভাঙার যন্ত্রও ধ্বংস করা হয়ে এসময়।

পাচারকারি আশরাফুল ইসলাম ও স্থানীয় দুইজনের বিরুদ্ধে রোয়াংছড়ি থানায় মামলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Exit mobile version