parbattanews

পানছড়িতে কাশফুলের উঁকি

শরতে পানছড়ির বুক চিড়ে বয়ে চলা চেংগী নদীর দু’পাশ, পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের দু’ধার আর মাঠে প্রান্তরে তাকালেই দেখা মিলে ফুটে থাকা কাশফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য।

বিভিন্ন মাঠ প্রান্তরে থোকায় থোকায় কাশফুলের দোলা, রাবার ড্যাম বেয়ে কল কল পানির শব্দ আর মৃদু হাওয়ায় আমন চারার দোল খাওয়ার দৃশ্য মনে বয়ে নিয়ে আসে এক প্রশান্তির ছোঁয়া। তাইতো শরৎ প্রকৃতিকে যেমনি সাজিয়ে তোলে অপরূপ সাজে, তেমনি মানুষের মনেও পৌঁছে দেয় প্রশান্তির ছোঁয়া।

প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী বর্ষার পরেই শরৎ। হুট করে একটু রোদ আবার এক পশলা বৃষ্টি এটাই শরতের নিয়ম। শরতের আগমনী বার্তা লগ্নেই গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে ফিরে আসে সতেজতা।

রোদ আর বৃষ্টির লুকোচুরির সাথে দূর আকাশে ফোটে উঠা রংধনু যেন শরতের পরিপূর্ণ রূপমাধুরী।

শরতের এসব চোখজুড়ানো, মনমাতানো নীল-সাদা আকাশ আর সবুজের সাথে একাত্ম হয়ে মাঠে-প্রান্তরে ছুটে বেড়ায় কোমলমতি শিশুরা।

বর্ষার জমে থাকা পানিতে বিভিন্ন জলাশয়ে ফোটা হরেক রঙের শাপলা-পদ্ম, ডাঙায় ফোটা জুঁই-শিউলি আর আমনের মাঠে মৃদু হাওয়ায় সবুজ চারার হেলে-ধুলে নুয়ে পড়ার নয়নাভিরাম দৃশ্যগুলো মন কেড়ে নেয়।

করোনার মহামারীতে পানছড়ির শান্তিপুর রাবার ড্যাম, অরণ্য কুটির, মায়াবীনি, মায়াকানন ও ঝর্ণাটিলায় দর্শনার্থীদের পদচারণা না থাকলেও ঋতু পরিক্রমায় আসা শরৎ ঋতুটিও মন জুড়ানো, প্রাণ জুড়ানো রূপবৈচিত্রে ভরপুর।

Exit mobile version