পানছড়িতে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী চাষ
ঋতুরাজ বসন্তে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত জুড়ে ফোটে নানান জাতের ফুল। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলাতেও লেগেছে বসন্তের সেই ছোঁয়া। এই প্রথমবার বানিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী চাষেই বদলে গেছে পুরো এলাকার দৃশ্যপট।
ফুলের সাথে সংখ্যতা গড়তে বাগান এলাকায় দেখা যায় পথচারীরার আনাগোনা। উপজেলার ৩নং সদর ইউপির গোলক প্রতিমামুখ এলাকায় গেলেই দেখা মিলে দৃষ্টিনন্দন হলদে সূর্যমুখী বাগান। দেখলে মনে হয় যেন সূর্যেও হাসি হাসছে সূর্যমুখী ফুলগুলো। পরীক্ষামুলক চাষেই সফলতা পেয়ে কৃষক মনেতোষ চাকমার মুখে যেন স্বস্তির হাসি।
তিনি জানান, উপজেলা কৃষি অফিস সার- বীজসহ সব ধরণের সহযোগিতা দিলেও মনে কাজ করছিল ভয়। সেই ভয়কে জয় করে প্রতিটি গাছে গাছে এখন শোভা পাচ্ছে বিশালাকার সাইজের সূর্যমুখী। রাস্তার পাশে দৃষ্টিনন্দন বাগান আর সূর্যমুখীর বুক চিরে উড়ে বেড়ানো মৌমাছির মৌ মৌ শব্দ দারুণভাবে উপভোগ করে পথচারীরা।
জানা যায়, ৩নং পানছড়ি ইউপির অক্ষয় মেম্বার পাড়া এলাকার কিরণ সেন চাকমার ছেলে মনোতোষ চাকমা সাজিয়েছেন এই বাগান। সহধর্মিনী নিনা চাকমা পাশে থেকে দিয়েছে সাহস আর শ্রম। মনতোষ চাকমার জানায়, এবার পরীক্ষামূলকভাবে ৩৬ শতক জায়গায় চাষ করেছি। আমার কম টাকা খরচ হয়েছে। তাই এবার লাভবানের ব্যাপারে আশাবাদী।
ভোজ্য তেলের ঘাটতি মিটাতে কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখী চাষের প্রতি আগ্রহ তৈরী করা হচ্ছে বলে জানায় কৃষি অফিস। উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল ইসলাম মজুমদার জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রনোদনার মাধ্যমে ৬০ জন কৃষকের মাঝে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়।
বর্তমানে উপজেলার সবকটি ইউপির ৬০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে। কৃষকদের মাঝে প্রচুর আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে আগামিতে আবাদি জমির পরিমান আরো বাড়বে।
নিউজটি ভিডিওতে দেখুন: