parbattanews

পানছড়িতে বারোমাসি কাঁচা কাঁঠালে সয়লাব

পানছড়ির বিভিন্ন হাটে শোভা পাচ্ছে কাঁচা কাঁঠাল। এইসব কাঁঠাল স্থানীয়দের কাছে বারোমাসি কাঁঠাল নামেই বেশ পরিচিত। পাহাড়ে এই কাঁঠাল চাকমা ভাষায় “কাত্তোল” ত্রিপুরা “থাইপং” আর মারমা ভাষায় “প্লেচি” নামেই পরিচিত। আবার সবজির বেলায়ও কাঁঠালের সবজিকে চাকমা ভাষ্য়া “হাত্তোল তোন” ত্রিপুরা ভাষায় “থাইপং মুই” মারমা ভাষায় “প্নেচি হাং” নামে চেনে।

তবে মজার ব্যাপার হলো এসব কাঁঠাল বিক্রি হয় কাঁচা অবস্থায়। এই কাঁচা কাঠালের তরকারি খেতে বেশ সুস্বাদু তাই দামও বেশ চড়া। স্থানীয়রা জানায়, তরকারির উপকরণ হিসেবে অনেকের কাছে প্রিয় বলে পাকা কাঁঠালের চেয়ে কাঁচার চাহিদাটাই বেশি। কয়েক প্রকার সবজির সাথে কাঁচা কাঁঠালের বাইরের অংশ ফেলে ভেতরের অংশকে শুঁটকি দিয়ে রান্না করা লাবড়া খেতে খুবই সু-স্বাদু।

চৌধুরী পাড়ার ক্যাপ্রুচাই মারমা জানায়, মারমা সম্প্রদায় কাঁচা কাঁঠালকে সিদ্ধ, গুতোক, ভর্তাসহ বিভিন্ন ভাবে খায়। পানছড়ি বাজার, লোগাং, দুধুকছড়া, পূজগাং, কুড়াদিয়াছড়া, বাবুড়াপাড়া, মরাটিলায় বিক্রি হচ্ছে এসব কাঁঠাল।

পানছড়িতে বাজার করতে আসা পূজগাং মুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিহির চাকমা জানান, নামের যত পার্থক্য থাকুক না কেন রান্না করা পাতিলে স্বাদ একি রকম।

তিনি বলেন, ছোট চিংড়ি, শুটকি ও তারা দিয়ে কাঁঠালের পাচন খুবই সু-স্বাদু। তাই বেশি দাম দিয়েই সবাই কাঁচা কাঁঠাল কিনে। পানছড়ি বাজারে বিক্রির জন্য ২০টি কাঁচা কাঁঠাল নিয়ে আসেন ঝাগুর নালার প্রভাতি চাকমা ও ১৫টি নিয়ে এসেছে বাউরা পাড়ার মিলি চাকমা। ছোট সাইজের ৬০ টাকা, তার চেয়ে একটু বড় ৭০ টাকা, এর চেয়ে একটু বড়টি ৯০ টাকায় বিক্রি করেছে বলে জানায়।

তারা জানান, বাগানে আরও কাঁঠাল রয়েছে বিভিন্ন হাটে এসব বিক্রি করবে। উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুনাংকর চাকমা জানান, স্থানীয় দেশি কাঁঠালের মধ্যে দুটি জাত রয়েছে। একটি বারোমাসি জাত অন্যটি নাবি জাতের। সারা বছর যেসব গাছে বেশী ফলন হয় সেগুলোকে বারোমাসি আর ফলন কম হওয়া জাতকে নাবি বলে। আগাম ও বারোমাসি কাঁঠাল বর্তমানে বাজারে দেখা যাচ্ছে। তবে কাঁচা কাঁঠালের সবজি বেশ পুষ্টিকর বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version