পানছড়িতে বিলীনের পথে বাঁশের বংশ

BAMBOO_PIC শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ির বিভিন্ন গ্রাম্য বাজার থেকে শুরু করে উপজেলা সদর সহ প্রায় সব এলাকাতেই প্রতিনিয়ত বিক্রি হচ্ছে কঁচি বাঁশ। যাকে চাকমা ভাষায় বাচচরি, মারমা ভাষায় নাহাং, ত্রিপুরা ভাষায় মুইয়া ও স্থানীয় ভাষায় বাঁশকুরুল বলে থাকে। এই বাঁশকুরুল সকল সম্প্রদায়ের নিকট সুস্বাদু খাবার হিসাবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অথচ এর কুফল সম্পর্কে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নুন্যতম ধারনা নেই যে, এটা দেশের জন্য কত বড় সর্বনাশ করছে। সরকারী নিষেধাজ্ঞা সত্বেও প্রশাসনের অবহেলার কারণে বিলীন হতে যাচ্ছে বাঁশের উৎপাদন। বাঁশ কুরুল থেকে যখন বাঁশটি পুরিপূর্ণ বাঁশে রপান্তরিত হয় সেই বাঁশের মূল থেকেই নতুন চারা বের হয়ে বাঁশের উৎপাদন দিন দিন বাড়তেই থাকে। অথচ সেই বাঁশের চারা উপড়ে ফেলার ফলে নতুন চারা গজাতে পেরে তা আজ বিলীনের পথে। অনেকের ধারনা কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণেই ধ্বংশ হচ্ছে বাঁশের বংশ। এভাবে আর কিছু দিন চলতে থাকলে বিভিন্ন বন্য প্রাণীর মতো বিলুপ্ত হয়ে যাবে বাঁশও। সরেজমিনে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির বিভিন্ন বাজার থেকে শুরু করে অলি-গলিতেও দেখা যায় বাঁশকুরুলের রমরমা ব্যবসা। প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে মনকে মন কচি বাঁশ। গ্রাহকের কাছে এটি এত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যে, বাজারে প্রবেশেই আগেই পথিমধ্যেই তা কেনা-বেচা শেষ হয়ে যায়। অথচ এ নিয়ে কোন মাথ্যা নেই স্থানীয় প্রশাসনের। অভিজ্ঞ মহল দাবী করছেন প্রশাসনের অবহেলার কারণে বাঁশের আজ এই বেহাল দশা। এ বিষয়ে সচেতনতা মূলক কোন পদক্ষেপ বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা আজো গ্রহন করা হয়েছে কিনা তা কারো বোধগম্য নহে। অভিজ্ঞ মহলের সাথে আলাপকালে জানা যায়, এ দেশ থেকে বাঁশতো বিলুপ্তি হচ্ছেই তার সাথে আবহাওয়ারও বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে আর এসবের জন্য প্রশাসনের অবহেলাই অনেকাংশে দায়ী ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন