পানছড়িতে মূলার বাম্পার ফলন, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে বাইরে

fec-image

শস্য ভান্ডার হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার রয়েছে ব্যাপক খ্যাতি। শীতের এই সবজি মৌসুমে পানছড়ির সবজি মাঠে যতদূর চোখ যায় সবুজের সবজি মাঠ ততই মন জুড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে মূলার ফলন হয়েছে বাম্পার। যা অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে গড়েছে নতুন রেকর্ড।

পানছড়ি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গেল বছর মূলার আবাদ হয়েছিল ৭ হেক্টর জমিতে। যাতে উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ২৮০ মে. টন। এবারে আবাদ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে। যার সম্ভাব্য উৎপাদন প্রায় ৬৭৫ মে. টন। যা গতবারের দ্বিগুনের চেয়ে বেশী। বৃষ্টিপাত কম আর সম্পূর্ণ অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে বলে জানায় কৃষি অফিস।

সরেজমিনে পানছড়ি মদন কারবারি পাড়া ও কানুনগোপাড়ার বিশাল সবজি মাঠে দেখা যায় মূলা তোলায় ব্যস্ত কয়েকজন শ্রমিক। মূলা তোলার পর কাঁধে করে নিয়ে রাখছে চেংগী নদীতে। মহিলা শ্রমিকেরা ধোয়ার কাজ শেষে সাজিয়ে রাখছে সারি সারি স্তুপে। কেউবা আবার উঁচু-নিচু পাহাড় বেয়ে কাঁধে করে চেংগী নদী থেকে তুলে বাজারজাতের লক্ষে রাখছে পানছড়ির প্রধান সড়কে। আর সন্ধ্যা লগ্নেই মিনি ট্রাকে তুলে নেয়া হচ্ছে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা শহরে।

কানুনগোপাড়া এলাকার মূলা চাষী বিমলেন্দু চাকমা ও কামাল হোসেন জানায়, এই মাঠে প্রায় ১শ টনের অধিক মূলা উৎপাদন হয়েছে। প্রথম প্রথম ভালো দাম পাওয়া গেলেও বর্তমানে বাজার ভালো যাচ্ছেনা। তবে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে জেলা ও অন্য উপজেলায়ও এই মাঠের মূলা যাচ্ছে বলে তারা জানায়।

কৃষি অফিস জানায়, মৌসুমের শুরুতে মূলার দাম ছিল কেজি প্রতি আশি থেকে একশো টাকা। বর্তমানে মূলার ভরপুর মৌসুম। কাজেই দাম একটু কম হবে এটাই স্বাভাবিক। দাম বেশী পেতে হলে আগাম চাষ কৃষকদের জন্য যুক্তিযুক্ত বলেও তারা জানায়।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: পানছড়ি, মূলা চাষ
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন