parbattanews

পানছড়িতে মৌসুমী ফলের সমাহার

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার সর্বত্রই এখন শোভা পাচ্ছে মৌসুমী ফল। দুর-দুরান্ত থেকে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা, মাহেন্দ্র ও সিএনজিতে করে পানছড়ি বাজারে নিত্যই আসছে নানান জাতের ফল। তাই পানছড়ি বাজারের প্রধান সড়ক এখন মৌসুমী ফলের দখলে। প্রতিদিনি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতার পদ-চারনায় বাজার থাকে মুখরিত।

সরেজমিনে দেখা যায়, পানছড়ি বাজারের প্রধান সড়কে আম, কাঁঠাল, লিচু, কলা, পেঁপেসহ নানা জাতের ফল। যার মাঝে জমজমাট রয়েছে লিচুর বাজার। গাড়ী ভর্তি লিচু আসা মাত্রই ক্রেতা-বিক্রেতা আর পাইকারীদের মাঝে শুরু হয় দরদাম । একদিকে দরদাম অন্যদিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দোকানীরা বিভিন্নভাবে ডাকছেন। এই যেমন “গাছ পাকা মিষ্টি লিচু” “বাজারের সেরা মিষ্টি আম” “দেশী পেঁপে” ইত্যাদি বলে বিক্রেতরো ক্রেতাদেরস ডাকছেন । ক্রেতারাও দিশেহারা হয়ে ছুটছে এক দোকান অন্য দোকানে। বাজারে ফলের অভাব নেই তাই ক্রেতারাও দারুণ খুশী।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশীয় মজাদার ফলগুলোর দাম ক্রেতার ক্রয়সীমার মধ্যেই রয়েছে। দেশীয় একশত লিচু পাওয়া যাচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। চায়না টু প্রতিশতের দাম ১৪০-১৫০ টাকা। তবে চায়না থ্রী এখনো বাজারে দেখা যাচ্ছে না। হয়তো কয়েকদিনের মধ্যে চায়না থ্রী বাজারে দেখা যাবে।

রিয়াং ছড়ার লিচু বিক্রেতা মনিতা চাকমা, মরাটিলার জগদীশ ত্রিপুরা ও নিবারন চাকমা জানান, লিচু দেশীয় হলেও দাম ভালোই পাচ্ছি। ফল বিক্রেতা লিয়াকত, মোজাফ্ফর, রশিদ জানান, গতবারের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। ফল যেমনি ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে তেমনি ক্রেতারাও খুশী।

পানছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল ইসলাম মজুমদার জানান, গেল বারের তুলনায় এবার ফলন বেশী হয়েছে। তবে তীব্র গরমে সময়ের আগেই ফল পাকা শুরু করেছে। তাই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাজার জমে উঠেছে। তবে সুমিষ্ট চায়না থ্রী আসতে আরো কয়েকদিন লাগতে পারে বলে তিনি জানালেন।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Exit mobile version