জেলার পানছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে লেগেছে এখন আমন কাটার ধুম। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, দিগন্তজোড়া ফসলের মাঠে দক্ষিণা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে সোনালী ধানে। পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে কৃষকের চোখে মুখে দেখা যায় তৃপ্তির হাসি।
গত সপ্তাহ খানেক ধরে কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে ধান কাটা আর কোথাও কৃষাণ-কৃষাণী ব্যস্ত ধান মাড়াইয়ের কাজে। মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টিতে কৃষককূলের মাঝে দেখা দিয়েছিল হতাশার চিহ্ন।
অবশেষে অতিবৃষ্টি, বৈরী আবহাওয়াসহ নানা সমস্যাদি কাটিয়ে কৃষকের গোলায় যাচ্ছে এখন সোনালী আমন। তাই শত দুঃখ-কষ্টের কথা ভুলে কৃষাণ-কৃষাণীরা খুশিতে এখন আত্মহারা। কথা হয় সূতকর্ম্মাপাড়া, মানিক্যপাড়া, দমদম, শনটিলা, শান্তিপুর, পূজগাং এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে।
তারা জানায়, এবারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল বেশি। তাদের অভিব্যক্তি ধান কাটা আর মারাইয়ের ব্যস্ততার মাঝে ধানের গন্ধে যেন মন ভরে যাচ্ছে। তাদের দাবি ধানের দানা বাঁধার শুরুতে হালকা বৃষ্টি ও মাঝারি হাওয়ার কারণে ক্ষতির আশঙ্কা থাকার কথা থাকলেও ফলন আশানারূপ হয়েছে। ধানে এবার চিটার পরিমান খুব কম বলেও তারা জানায়।
পানছড়ি কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫৮০ হেক্টর জমি। চাষাবাদ হয়েছে ৩৭৫৮ হেক্টর জমিতে। ২০১৭ সালে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬৮০ হেক্টর জমি। যার মধ্যে চাষাবাদ হয়েছে ৩৭৬০ হেক্টর। ২০১৬ সালে ধানের উৎপাদন ছিল হেক্টর প্রতি ৫.৩ মেট্টিক টন। ২০১৭ সালে তা দাঁড়িয়েছে হেক্টর প্রতি ৫.৫ মেট্টিক টন।
বোরোতে আরো বেশি ফলনের আশা করা যাচ্ছে বলে জানান, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা অরুণাংকর চাকমা। পানছড়ি উপজেলার কৃষি অফিসার আলাউদ্দিন শেখ জানায়, কৃষকদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ, তদারকি ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
তাছাড়া এবারে ৪ জাতের ধানের বীজ ও সার কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষক এবং কৃষি অফিসের আন্তরিক যোগাযোগের ফলেই আশানুরূপ ফলন পেয়েছে এবার পানছড়ির কৃষকেরা।