পানছড়ির ক্ষুদে কৃষি উদ্যোক্তা মাছুম

অদম্য আগ্রহ আর ইচ্ছাশক্তি নিয়ে এগিয়ে চলছে এক ক্ষুদে উদ্যোক্তা । নিজের উদ্যম, সাহস আর সৃষ্টিশীলতা দিয়েই তৈরী করেছে নতুন পথ। এই পথ তৈরীর কারিগরের নাম জহিরুল ইসলাম মাছুম (১৬)। সে উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের কৃষক আবদুল মাজেদের সন্তান।
মাছুম পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পড়া-লেখার পাশাপাশি সে বাড়ির আঙিনা ও পতিত জায়গায় সাজিয়ে তুলেছে দৃষ্টিনন্দন নার্সারী। যার মাঝে বর্তমানে শোভা পাচ্ছে ৪ হাজার বিভিন্ন জাতের আম, ১ হাজার লেবু, ১ হাজার জাম্বুরা, ৪শত মালটার চারা। ইতিমধ্যে আড়াই হাজার পেঁপের চারা বিক্রি করেছে প্রতিটি বিশ টাকা দরে।
সরেজমিনে গিয়ে মাছুমের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাড়ির আশে-পাশে যাতে একবিন্দু জায়গা খালি না থাকে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা তাকে বেশী উদ্বুদ্ধ করেছে। তাই প্রথমেই দাবা কলম ও গ্রাফটিংয়ের কাজ আয়ত্ব করে নিই। পরবর্তীতে জমানো ৫ হাজার টাকা দিয়ে নার্সারীর কাজ শুরু করি। বর্তমানে নার্সারীতে শোভা পাচ্ছে প্রায় লক্ষাধিক টাকার কলমের চারা। বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে আর ছুটির পরে কাজ করেই সে নার্সারী গড়ে তুলেছে। তবে অর্থ সংকট ও পানি সমস্যার কারণে কর্মপরিধি বাড়ানো যাচ্ছে না বলে জানায়। উপজেলা কৃষি অফিস তার প্রতি সুদৃষ্টি দিলে সে ভবিষ্যতে বড় উদ্দ্যেক্তা হবার সাহস পাবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাজমুল হোসাইন মজুমদার জানান, বর্তমানে ক্ষুদে উদ্যোক্তার সংখ্যা খুবই কম। পড়া-লেখার পাশাপাশি মাছুমের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। কৃষি অফিস তার পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার কথাও তিনি জানান।