parbattanews

পানছড়ির গোলরক্ষক ছোটনের স্বপ্নের গরু

গোলরক্ষক শরীফ মাহামুদ ছোটন। পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিবে। তালুকদার পাড়া গ্রামের মো: ফজলুল কবির ও মোছা: লুৎফুন্নেছার ছেলে ছোটন পরিবারের সবার ছোট। বড় মাপের গোলরকক্ষক হবার স্বপ্ন নিয়ে সে নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছে অনুশীলন।

ইতোমধ্যে পানছড়ি উপজেলা দলের নিয়মিত প্রথম একাদশের গোলরক্ষকের আসনটি তার দখলে। পানছড়ি ছাড়াও  খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা, মাটিরাঙা, রামগড়, মহালছড়ি, ফটিকছড়ি, হাটহাজারীতে বিভিন্ন দলের হয়ে নিয়মিত খেলতে যাওয়া যেন তার নিত্য রুটিন। অক্টোবর মাসে বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় খেলে জমানো আঠারো হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনে বাস্তবায়ন করেছে তার প্রাথমিক স্বপ্ন।

এ ব্যাপারে সে জানায়, বছর দু’য়েক আগে সারাদেশে অনুর্ধ্ব’১৫ বাছাইয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ হয়ে ঢাকায় খেলার সুযোগ হয়েছিল। বর্তমানে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩-৪টি খেলা খেলতে বিভিন্ন উপজেলায় যেতে হয়। পানছড়ি ফুটবল একাডেমির প্রধান কোচ ক্যপ্রুচাই মারমার হাত ধরে খেলার জগতে আসা। পানছড়ি উপজেলা ফুটবল একাডেমির কোচ ক্যপ্রুচাই মারমা গোলরক্ষকের কৌশলগুলি শিখিয়েছে। যার ফলে আমার এতোদুর আসা। বর্তমানেও আমাকে দেশের বড় মাপের গোলরক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

পানছড়ি ফুটবল একাডেমির প্রধান প্রশিক্ষক ক্যপ্রুচাই মারমা জানান, সে বয়সে এখনো তরুণ। তার উচ্চতাও ভালো। এ বয়সে অনেক ভালো ভালো কৌশল রপ্ত করেছে। নিয়মিত অনুশীলনে থাকলে সে দেশের নামকরা গোলরক্ষক হতে পারবে।

খাগড়াছড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক ধুমকেতু মারমা জানান, তার কয়েকটি খেলা আমি উপভোগ করেছি। তাকে আরো মনযোগী হয়ে কঠোর অনুশীলন করতে হবে। তবে বয়সের তুলনায় তার বেসিক অনেক ভালো বলে জানালেন। এই প্রত্যন্ত এলাকার এই অল্প বয়সী তরুণ খেলার জমানো টাকায় গরু কেনাটা একটি দৃষ্টান্ত বলেও তিনি জানালেন।

Exit mobile version