parbattanews

পানছড়ির ঝর্ণাটিলায় ৩৮ মাথার দুই আনারস

দুইটি আনারসে ৩৮টি মাথা। একটিতে রয়েছে ২১টি মাথা ও ফল, আরেকটিতে রয়েছে ১৭টি মাথা। পাশাপাশি জোড় আনারস রয়েছে প্রায় ৩০টির অধিক। এই বিরল দৃশ্য ঝর্ণাটিলার দেখা মিলেছে আবু কালামের আনারস বাগানে। এমন দৃশ্য জীবনে কোনদিন দেখে নাই বলে জানায় বাগান মালিক আবু কালাম।

সরেজমিনে ঝর্ণাটিলাস্থ আদর্শ গ্রাম এলাকার ১০ একরের বিশালাকার বাগানে গেলে দেখা যায় ৩৮ মাথার আনারস দুটি। দুই আনারসের ৩৮ মাথা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল ইসলাম মজুমদার বলেন, মাঝে মাঝে কিছু কিছু জাতে এ ধরণের কৌলিতাত্ত্বিক বিকলঙ্গতা দেখা যায়। তবে প্রচলিত জাত সমুহের ক্ষেত্রে এটা বিরল। তাছাড়া প্রাকৃতিক মিউটেশন বা ক্লোনাল ভেরিয়েশনের জন্যও এটা হতে পারে। এ ব্যাপরে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

পানছড়ি উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, হরমোন জণিত বা মাটির উর্বরতার কারণে এমন হতে পারে। তবে সচরাচর এরকম দেখা মিলে না। তাঁর গড়া বাগানে বর্তমানে শোভা পাচ্ছে মধুপুরি ও বোম্বাই জাতের ২৬ হাজার আনারস এবং চায়না থ্রি সিডলেচ ও এলাচ জাতের ৪০ হাজার লেবু। পাশাপাশি রয়েছে ড্রাগন, লটকন, আম, লিচু, মালটা, বেল, উন্নত জাতের চায়না কমলা, আমড়া আর কলা। সাথী ফসল হিসেবে রয়েছে নানা জাতের সবজি।

আবু কালাম বলেন, ফলদ বাগানের পাশাপাশি সবজি চাষেই বেশি লাভ। চলতি বছরে সবজি চাষে ২০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার শাক-সবজি বিক্রি হয়েছে। তাঁর দাবি এখানে পানির সমস্যাটা বেশি। প্রশাসন একটু নজর দিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থাটা করে দিলে এটি একটি আদর্শ বাগানে পরিণত হবে। পানছড়ি-ঝর্ণাটিলা-গৌরাঙ্গপাড়া সড়কটি দেখতে অনেকটা সাপের মতো আঁকাবাকা। এটি পানছড়ি ও মাটিরাঙা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। এখানে রয়েছে চোখ জুড়ানো ঝর্ণা আর শত শত ফলদ ও বনজ বাগান। ঝর্ণার পানির কলকল শব্দ আর পাখিদের কলরবে এলাকাটি সবসময় থাকে মুখরিত। তাই এলাকার নামকরণ করা হয় ঝর্ণাটিলা।

Exit mobile version