পানছড়ির দুই কটকটি বিক্রেতার ঘরের দাবি
পানছড়ির মো. আতাব উদ্দিন (৬২) ও মো. শহীদুল ইসলাম (৪২) দুজনেই ফেরিওয়ালা। তারা পুরনো ভাঙ্গাচুরা লোহা, প্লাষ্টিক ও কাগজ ক্রয়ের পাশাপাশি মিঠাই জাতীয় কটকটিও বিক্রি করে।
জানা যায়, দু’জন ৫নং উল্টাছড়ি ইউপির মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. নওয়াব আলী ফকির ও মো. আবদুল গফুরের সন্তান। মো. আতাব উদ্দিন বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে আর শহীদুল এক চোখে অল্প অল্প দেখলেও আরেক চোখে মোটেও দেখেনা। কিন্তু অভাবের সংসারে দু’জনেই সাত সকালে কাঁধে ভার নিয়ে বেরিয়ে পড়ে জীবিকার সন্ধানে। এভাবেই বছরের পর বছর ভার কাঁদে করে খুঁজে বেড়ায় ভাঙ্গাচুরা লোহা, প্লাষ্টিক ও কাগজ।
কিন্তু বর্তমানে আগের মতো দিন আর নাই। তাই সারাদিন ঘুরে বেড়ালেও নুন আনতে পানতা ফুরায়। তাইতো দীর্ঘ বছরেও ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারেননি। প্রতিবন্ধী শহীদুলের দাবি, নিজের কোন ঘর নাই পরের ঘরে ভাড়ায় রয়েছে দীর্ঘ বছর। নিজ নামীয় অল্প জায়গা আছে, সরকার চাইলে আমায় একটি ঘর করে দিতে পারে।
এদিকে আতাব উদ্দিন জানায়, সংসারে শতবর্ষী মা-বাবা ও ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তাদের অন্ন, বস্ত্র ও চিকিৎসাসহ সব খরচ আমিই চালাই। বিশাল বড় সংসারে চারিদিকে ভাঙ্গা বেড়ার ঘরেই মানবেতর দিনযাপন করতে হয়। আমার ঘরটি কোনমতে দাড়িয়ে আছে। এবারের বর্ষায় হালকা বাতাসেই এটি যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে। দু’জনেই ঘরের দাবি জানালেন।
প্রতিবেশী মো. আবুল কাশেম ও মো. শহীদউল্লাহ জানায়, আসলেই দু’জন অসহায়। দীর্ঘ বছর ধরে তারা ফেরি করে বেড়ায়। বর্ষা মৌসুমে তারা মানবেতর দিন যাপন করে। সরকারের দেয়া ঘরের দাবিদার তারা। তাই সঠিক তদন্ত পূর্বক অসহায় পরিবার দুটোকে ঘর প্রদানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।